1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোটরসাইকেল ট্রাক্সিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ইয়েমেনে

১৩ অক্টোবর ২০১০

গরীব দেশ ইয়েমেনের সস্তা যানবান হিসেবে মোটর সাইকেল ট্যাক্সি জনপ্রিয়৷ কিন্তু দুই চাকার এই বাহনে চেপে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে ধর্মান্ধ জিহাদীরা৷ আর এ কারণে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মোটর সাইকেল ট্যাক্সি৷

https://p.dw.com/p/PdIa
ইয়েমেনছবি: AP

গত ছয় মাসে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আবিয়ানেই মোটরসাইকেল ট্যাক্সিতে জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন কর্মকর্তা৷ এ অঞ্চলটি ধীরে ধীরে সন্ত্রাসী আল-কায়দা সদস্যদের ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে৷ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিরা অন্যান্য প্রদেশেও একই ধরণের হামলা চালাচ্ছে৷

মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়াও বেড়ে চলেছে৷ গত রোববার রাতে দুই ব্যক্তি মোটর সাইকেলে করে আবিয়ানের রাজধানী জিনজিবারে একজন কর্মকর্তার ওপর গুলি চালায়৷আল-কায়দার হিটলিস্টে এই পুলিশ অফিসারের নাম ছিল বলে প্রকাশ৷ গত সপ্তাহে এর পাশের দালেহ প্রদেশে আরেকজন বন্দুকধারী একজন সেনাকে গুলি করে হত্যা করে৷ এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ দু'হাজার মোটর বাইককে আবিয়ানের রাস্তায় চলাচল না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে এবং অন্যান্য অঞ্চলেও দু'চাকার এই বাহনের সীমিত চলাচলের ওপর জোর দিচ্ছে৷

আবিয়ান প্রদেশের ডেপুটি গভর্ণর আহমেদ নাসের জারফুশ বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেছেন, ‘‘আবিয়ানের কর্মকর্তা, সেনা এবং নিরাপত্তা সদর দপ্তরের ওপর বেশির ভাগ হামলাই চালানো হয়েছে মোটরসাইকেলে করে৷''

তবে, মোটর সাইকেল ট্যাক্সির কারণে ঘটিত সব মৃত্যুর সঙ্গেই সবসময় জঙ্গিরা জড়িত নয়৷ দেশটির সরকার সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্যও এর সংখ্যা কমাতে চাচ্ছে৷ সরকারি হিসেবে বলা হচ্ছে, এই বাহনের কারণে ইয়েমেনে প্রতিমাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিশ থেকে চল্লিশজন মানুষ মারা যাচ্ছেন৷

জিনজিবারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ঘাসান আল-শেখ বলছেন, ‘‘মোটর সাইকেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মাধ্যমে কেবল এই সমস্যার আংশিক সমাধান হতে পারে৷ সরকারের উচিত এই বাহনের মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তাঁদের জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ করে দেওয়া৷''

ইয়েমেনের এক লাখেরএ বেশি মানুষের মোটর সাইকেল ট্যাক্সির রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে৷ তাঁদের বেশিরভাগকেই জীবনধারণের জন্য এই আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়৷ রেজিষ্ট্রেশন করেননি এরকম আরও অনেক মানুষও সেখানে আছেন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক