1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবাই তখন মজা দেখছিল!

৫ জানুয়ারি ২০১৭

নতুন বছর শুরু হতে না হতেই ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির খবর এলো ভারতের ‘হাই-টেক' শহর বেঙ্গালুরু থেকে৷ সেখানে এবার গণহারে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে নারীরা৷ কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরপরও পশ্চিমা বিশ্বকেই দায়ী করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2VJgm
যৌন নিপীড়ন
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/Yuri Arcurs

নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের পশ্চিমা মনোভাব ও পোশাক-আশাকই নাকি যত নষ্টের গোড়া৷ নববর্ষের উৎসবে হাত-কাটা, খোলামেলা পোশাক পরাটাই নাকি তাঁদের উচিত হয়নি! কিন্তু সত্যিই কি তাই? পোশাক আধুনিক হলে, লম্বায় ছোট হলেই কি সেই নারীর চরিত্র খরাপ হয়ে যায়? স্বাভাবিকভাবেই ভারতের আপামর জনসাধারণ তা মেনে নেয়নি৷ তাঁরা বরং সেই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন৷ অন্যদিকে ঘটনার দিন আদৌ কী হয়েছিল, তা নিয়ে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া' পত্রিকাও প্রকাশ করেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ৷

এক পাঠকের পাঠানো ১লা জানুয়ারি ভোরের ঐ ফুটেজে দেখা যায়, রাতের রাস্তায় একজন তরুণী একা একা যাচ্ছিলেন৷ সে সময় হঠাৎ পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যাক্তি তাঁর সামনে এসে পথ রোধ করে দাঁড়ায়৷ তারপর একজন তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরে৷ সারা শরীর হাতড়াতে থাকে, হাত দেয় এখানে-ওখানে৷ তরুণীটি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিছুক্ষণ পর তাঁকে রাস্তায় আছড়ে ফেলে চলে যায় ঐ দুই ব্যক্তি৷

ভারতের তথ্য-প্রযুক্তির রাজধানী হিসেবে খ্যাত বেঙ্গালুরুতে নববর্ষের উৎসবে নারীদের শ্লীলতাহানির এমন ভয়ংকর ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ঝড় তুলেছে৷ কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এসব শ্লীলতাহানির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘কোলাহলপূর্ণ এলাকায় এসব হয়েই থাকে৷''

ওদিকে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার পারভিন সুদ বলেন, তাঁর দল গণহারে শ্লীলতাহানির উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে৷ এ ঘটনায় পুলিশ নীরবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি৷ কিন্তু একটা সুস্থ সমাজের জন্য যেটা চিন্তার বিষয়, সেটা হলো মেয়েদের আর্তিতেও কান দেয়নি প্রত্যক্ষদর্শীরা৷  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ৷

প্রশ্ন হলো, কেউ যদি দুর্বৃত্তদের মুখোমুখি না দাঁড়ান, প্রতিরোধ না গড়েন, তাহলে নারীরা যাবেন কোথায়?

ডিজি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য