মেয়েকে বোকো হারামের হাতে তুলে দিয়েছে বাবা!
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪দেশটির উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কানু থেকে বিস্ফোরক বহনের দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ডিসেম্বরের ১০ তারিখে কানুর একটি পোশাক মার্কেটে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় তিন তরুণী৷ এর মধ্যে একজন ছিল ১৩ বছরের এই মেয়েটি৷ তবে বাকি দু'জন তাদের বোমা বিস্ফোরিত করলেও এই মেয়েটি সেটা করেনি৷ ঐ হামলায় চারজন নিহত হয়েছিল৷ আর আহত হয়েছিল এই মেয়েসহ সাতজন৷
আহত অবস্থায় মেয়েটিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এরপর বুধবার তাকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করায়৷ মেয়েটি বলেছে, কানু শহরের পূর্ব পাশে বোকো হারামের যে শিবিরে তার বাবা তাকে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে সে অনেক মানুষকে জীবন্ত কবর দিতে দেখেছে৷
মেয়েটি জানিয়েছে, জঙ্গিরা তার কাছে জানতে চেয়েছিল সে স্বর্গে যেতে চায় কিনা৷ উত্তরে ‘হ্যাঁ' বললে জঙ্গিরা তাকে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হতে বলে৷ কিন্তু মেয়েটি এভাবে মরতে রাজি না হওয়ায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷ এরপর তাকে আত্মঘাতী হামলার পোশাক পরিয়ে হামলা করতে পাঠানো হয়৷
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা আদেনরেলে শিনাবা বলেছেন, আহত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ মেয়েটির বাবাকে পুলিশ এখনও খুঁজে পায়নি বলেও জানিয়েছেন ঐ পুলিশ কর্মকর্তা৷ মেয়েটি বলছে, তার বাবা বোকো হারামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷
গত পাঁচ বছর ধরে নাইজেরিয়ায় একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বোকো হারাম৷ তাদের হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে৷ ঘর ছাড়া হয়েছে ১৬ লক্ষের বেশি মানুষ৷
বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বোকো হারামের বিভিন্ন হামলায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ এছাড়া এপ্রিল মাসে তারা একটি স্কুল থেকে ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ এর মধ্যে কেউ কেউ পালাতে সমর্থ হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২১৯ জন৷ বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, বোকা হারামের সাম্প্রতিক সময়ে চালানো আত্নঘাতী হামলায় কিশোরী ও তরুণীদের বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ অপহৃত ছাত্রীদেরই এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আশংকা অনেকের৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি, ডিপিএ)