মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলো
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০১৯৮০ সাল৷ যখন ওইসিডি'র সদস্য দেশগুলিতে প্রতি দশ জন মানুষের মধ্যে একজনেরও কম ছিল মোটা৷ এখন অবশ্য সেখানকার অনেক দেশেই মোটা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ এমনকী তিনগুণও হয়েছে৷ ওইসিডি'র সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে৷
ইতিমধ্যে এ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ওইসিডি৷ ‘ওবিসিটি অ্যান্ড দ্য ইকোনোমিকস অব প্রিভেনশন' শীর্ষক ঐ সমীক্ষাটিতে ওইসিডি জানিয়েছে, ‘‘এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী দশ বছরের মধ্যে ওইসিডি'র কমপক্ষে কয়েকটি দেশে প্রতি তিনজনের মধ্যে দু'জনেরও বেশি মানুষের অতিরিক্ত ওজন হবে এবং তাঁরা মেদ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগবেন৷''
ওইসিডি'র ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী, একজন মানুষের ওজন কত হবে - সেটা নির্ভর করে তাঁর উচ্চতার ওপর৷ আর এটি হিসেব করা যায় ‘বডি মাস ইনডেক্স' বা বিএমআই-এর মাধ্যমে৷ সেখানে আরও বলা হয়, বর্তমানে মানুষের মোটা হওয়ার প্রবণতার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে৷ খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন, জীবনযাপন এবং কাজের ধরণ ও পরিবেশের পরিবর্তন - যা শারীরিক শ্রমকে কমিয়ে দেয়, বাড়িয়ে দেয় মানসিক চাপ ও কাজের সময়সীমা৷
পুরুষের তুলনায় নারীদের মোটা হওযার প্রবণতা বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে৷ বলা হয়েছে, ওইসিডি'র বেশিরভাগ দেশের পুরুষরা নাকি নারীদের চেয়ে দ্রুতগতিতে মোটা হচ্ছেন৷ এছাড়া গরীব ও কম শিক্ষিত মানুষের মধ্যে মোটা মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত৷ সামাজিক এই বৈষম্য আরও দেখা যাচ্ছে শিশুদের মোটা হওয়ার ক্ষেত্রেও৷
মজার বিষয় হচ্ছে, এর ঠিক বিপরীত অবস্থাও কিন্তু দেখা গেছে সমীক্ষাটিতে৷ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে, মেদ সংক্রান্ত এই সমস্যা দেখা গেছে সবচেয়ে বেশী৷ দেশটির স্বাস্থ্যখাতের ৫ থেকে ১০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে এর পেছনে৷ অথচ, বিশ্বের অন্যান্য দেশ স্বাস্থ্যখাতের মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশ ব্যয় করে থাকে এই কারণে৷
সুতরাং, সতর্ক হওয়ার এটাই মক্ষম সময়, জানাচ্ছে ওইসিডি৷ আর তাই, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং চিকিৎসকদের মাধ্যমে নাগরিকদের পরামর্শ দানের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার জন্য এইসব দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ