1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেদভেদেভ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুললেন

২৫ জানুয়ারি ২০১১

রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ মস্কো বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলাকে জাতীয় ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে যুগপৎ দোমোদিয়েদোভো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও দায়ী করেছেন৷

https://p.dw.com/p/102Qa
রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভছবি: AP

মেদভেদেভ সারা দেশে উচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দিয়ে ক্রেমলিনে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন এবং তাঁর ডাভোস যাত্রা স্থগিত রাখেন৷ নয়তো তাঁর ডাভোস আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতা দেবার কথা ছিল৷ মেদভেদেভ জাতির প্রতি তাঁর টেলিভিশন ভাষণে বলেন, দোমোদিয়েদোভো বিমানবন্দরে বোমা হামলা ছিল একটি সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্য৷ অপরদিকে বিমানবন্দরের শিথিল নিরাপত্তাও এর জন্য দায়ী৷

যে সব ভুল-ভ্রান্তির থেকে এই আক্রমণ সম্ভব হয়েছে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তার জন্য দায়ী করা হবে, বলে মেদভেদেভ হুমকি দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে যা ঘটেছে, তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ভঙ্গ হয়েছে৷ এই পরিমাণ বিস্ফোরক ভিতরে ঢোকানোর জন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে৷ এক্ষেত্রে যে কোম্পানি এ'সব সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত সবাই, এবং সেই সঙ্গে বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষকে সব কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে হবে৷''

Flugzeugunglück in Russland September 2008
বহু হতাহতের শরীরে নাকি ধাতব খণ্ড পাওয়া গেছেছবি: AP

প্রাথমিক বিবরণ অনুযায়ী বিস্ফোরণের শক্তি ছিল পাঁচ থেকে সাত কিলোগ্রাম টিএনটি'র সমতুল৷ রুশ তদন্তকারীরা দৃশ্যত একটি ‘‘আরব আকৃতির'' মাথা খুঁজে পেয়েছেন৷ রিয়া নোভোস্তি সংবাদ সংস্থার সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আততায়ী খুব সম্ভবত এক মহিলা৷ রুশ ভাষ্যকাররা স্বভাবতই আততায়ীর উত্তর ককেশাস, অর্থাৎ চেচনিয়া থেকে এসে থাকার সম্ভাবনা দেখছেন৷ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা আপাতত ৩৫, হাসপাতালে রয়েছেন আহত আরো ১০৮ জন৷ বহু হতাহতের শরীরে নাকি ধাতব খণ্ড পাওয়া গেছে, বলে জানাচ্ছে একটি রুশ ওয়েবসাইট৷ কেননা, বোমাটি নাকি নাট, বল্টু, পেরেক, বল বেয়ারিং ইত্যাদি দিয়ে ভরা ছিল৷

Trauer in Rußland
বোমা হামলা ছিল সুপরিকল্পিত এক সন্ত্রাসী কার্যছবি: AP

সারা বিশ্বের নেতৃবর্গ মস্কো বিমানবন্দরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জরদারি এবং আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সকলেই এই সন্ত্রাসে বিমূঢ় হলেও, এ'কে রুখতে বদ্ধপরিকর৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ