1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেক্সিকোর ‘মগের মুলুক’ হুয়ারেস

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

মেক্সিকোতে অপরাধ তৎপরতা দিন দিন কেবল বাড়ছে৷ বৃহস্পতিবার মোরেলিয়া শহরে ছয়টি মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ অন্যদিকে হুয়ারেস সিটির হাজার হাজার লোক এখন শহর ছেড়ে পালাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/M5NA
ছবি: AP

মেক্সিকোর মাদক পাচারকারী চক্রগুলোর বিরোধের কারণে গত বছর প্রাণ হারিয়েছে ৭,৭০০ এরও বেশি মানুষ৷ এই চক্রগুলো একে অপরের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তার ফলে একের পর এক প্রাণহানি ঘটে থাকে৷ কোন কোন এলাকায় সরকার এবং সেনাবাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী এসব মাদক পাচারকারী চক্রগুলো৷ তেমনই একটি শহর এখন হুয়ারেস৷ এক সময়ের শিল্পাঞ্চল এই শহরটি এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে৷ শহরটিতে বাস করেন প্রায় ১৫ লাখ লোক৷ কিন্তু গত দেড় বছরে অন্তত দেড় লাখ মানুষ এই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন, আশ্রয় নিয়েছেন অন্য কোন শহরে৷ কারণ খুন, রাহাজানি এখন সেখানে নিত্যদিনের ব্যাপার৷ মাদক চক্রগুলোর সংঘর্ষে প্রতিদিন ডজন খানেক খুনের ঘটনা ঘটছে হুয়ারেস শহরে৷ টেক্সাস সীমান্তের একেবারে গা ঘেঁষা এই শহরটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে রেল ও সড়ক পথে যাওয়া যায়৷ তাই শহরটিকে মাদক পাচারের জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে অপরাধীরা৷

Karte Grenzgebiet Mexiko USA
মেক্সিকোর হুয়ারেস শহরছবি: DW

কেবল খুনোখুনি নয়, টাকা কামানোর অন্যতম উপায় হিসেবে অপরাধীরা অপহরণ এবং চাঁদাবাজিকেও বেছে নিয়েছে৷ শহর ছেড়ে পালিয়ে আসা এক মেক্সিকান নাগরিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গত বছর একটি গ্যাং আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু সেসময় আমি বাড়িতে না থাকায় তারা আমার পাশের বাড়ির লোককে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ হুয়ারেস শহরে গেলে এখন দেখা যায় অনেক সরকারি ভবনই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে৷ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ২০০৮ সাল থেকে শহরটিতে অন্তত সাড়ে চার হাজার খুনের ঘটনা ঘটেছে৷ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কালদেরন সেনাবাহিনী নামিয়েও দমন করতে পারছেন না এই অপরাধী চক্রগুলোকে৷

Mexikos Jugend im Drogenrausch
পুলিশ ও সেনারাও মাদক চক্রের কাছে অসহায়ছবি: DW/Mellmann

কেবল হুয়ারেস শহর নয় – মেক্সিকোর আরেকটি শহর মোরেলিয়াও এখন পরিণত হয়েছে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে৷ বৃহস্পতিবার সেখানকার একটি রাস্তায় পড়ে থাকা গাড়ি থেকে ছয়টি মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সবগুলো লাশের শরীরই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে৷ এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি এবং ৫ ফেব্রুয়ারি একইভাবে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ৷ স্থানীয় গ্যাং মিচোয়াকানা এবং জেতাস পরিবারের মধ্যে বিরোধের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন