মুসলিম তরুণী টুচের জন্য শোক
দুই স্কুল ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে বখাটেদের হামলার শিকার হন টুচে৷ মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন মুসলিম এই তরুণী৷ সেখান থেকে যান না ফেরার দেশে৷ তাঁর মৃত্যু গোটা জার্মানিকে নাড়া দিয়েছে৷
সাহায্য করতে গিয়ে মৃত্যু
শনিবার সকালে পুলিশ ২৩ বছর বয়সি টুচের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে৷ ঠিক ২৩তম জন্মদিনে মারা যান টুচে৷ অন্যদের সাহায্য করতে গিয়ে মৃত্যুকে বরণ করেন তিনি৷
আলোর মিছিল
টুচে যে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান, সেই হাসপাতালের সামনে মোমবাতি হাতে শোক প্রকাশ করেছেন দেড় হাজারের মতো মানুষ৷
লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দেয়া হয়
১৪ নভেম্বর এক বখাটের আঘাতে আহত হওয়ার পর থেকে কার্যত কোমায় ছিলেন টুচে৷ ওফেনবাখ পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে (৩০-১১-১৪) তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়৷ চিকিৎসকরা টুচেকে ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণার পর তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা৷
জার্মান প্রেসিডেন্টের শোক
জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক এবং হেসে রাজ্যের সরকার টুচের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে৷ এমন মৃত্যু ভয়ংকর বেদনাদায়ক বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজনীতিবিদরা৷
ফাস্ট ফুড রেস্তরাঁয় ঝগড়া
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত গিসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী টুচেকে দুই সপ্তাহে আগে ঘুসি মেরেছিল এক তরুণ৷ সেসময় টুচে মাটিতে পড়ে যান৷ তুর্কি বংশোদ্ভূত এই তরুণী অন্য দুই মেয়েকে হয়রানি থেকে বাঁচানোয় হামলার শিকার হন৷
সন্দেহভাজনকে আটক
টুচেকে মারার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরা পড়ে যা পরবর্তীতে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন তরুণকে আটকও করেছে পুলিশ৷
সহানুভূতি এবং সংহতি
ওফেনবাখের সানা ক্লিনিকের সামনে দাঁড়ানোদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘‘আজ আমরা সবার টুচে৷’’
সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর দাবি
টুচের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক মানুষ মন্তব্য করেছেন৷ তাঁকে জার্মানির ‘অর্ডার অফ ম্যারিট’ পদক দেওয়ার দাবিতে এক অনলাইন পিটিশন চালু করা হয়েছে, যেখানে বুধবার পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই লাখের বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে৷
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
বুধবার ওফেনবাখে একটি মসজিদে টুচের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়৷ সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন৷