1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে দীর্ঘ দুই দশক পর নির্বাচন

৭ নভেম্বর ২০১০

দীর্ঘ দুই দশক পর মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন৷ যদিও এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি৷ ভোট গ্রহণ কতটুকু সুষ্ঠু হয়েছে তা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক সন্দেহ৷

https://p.dw.com/p/Q0yO
Wahl in Birma
ছবি: AP

নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

মিয়ানমারের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল বিগত ১৯৯০ সালের ২৭ মে৷ সেই নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি বিজয়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি সামরিক জান্তা৷ বরং গত দুই দশকের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর সু চি কাটিয়েছেন কারাগারে নয়তো গৃহবন্দী হয়ে৷ চলতি নির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে বর্তমান নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অবশ্য ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন৷ মিয়ানমারের পূর্ব নাম উল্লেখ করে ভারত সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আর যাই হোক বার্মার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না৷ বার্মার জনগণকে দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে৷ নির্বাচন চলাকালে বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকেও সীমিত আকারে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিচ্ছে সামরিক প্রশাসন৷ এর আগে দেশটির বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে যে নির্বাচনের নামে আসলে প্রতারণা এবং নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে৷ এসব কারণে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷

তবুও আশার আলো

তাহলে কি এই নির্বাচন কেবলই লোক দেখানো? নির্বাচনের ফলাফল কখন জানানো হবে তা জানে না কেউ৷ এছাড়া নির্বাচন শেষে বর্তমান সামরিক জান্তা প্রধান জেনারেল থান শোয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন নাকি বহাল থাকবেন সেটিও কেউ বলতে পারে না৷ তাই এই নির্বাচন কতটুকু কাজে দেবে সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ এর আগে জেনারেল থান শোয়ে নিজেই বলেছিলেন যে, এই নির্বাচন মিয়ানমারে নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রের পথ পরিস্কার করবে৷ কিন্তু এই নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র সামরিক প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হবে কিনা সেটি তিনি স্পষ্ট করেন নি৷ তবে আশার কথাও আছে, অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘ দুই দশক পর মিয়ানমারের এই নির্বাচন জনগণের মধ্যে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনবে৷ এছাড়া শাসন ব্যবস্থাতেও গণতন্ত্রের একটি হাওয়া লাগতে পারে৷

সেনাবাহিনী নয়তো সেনা সমর্থিত দল

সু চির নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল এনএলডি এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে৷ কিন্তু এরপরও বেশ কিছু দল নিবাচনে অংশ নিচ্ছে৷ এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সামরিক প্রশাসন সমর্থিত ইউএসডিপি এবং এনইউডি৷ নির্বাচনে মোট প্রার্থীদের দুই তৃতীয়াংশই এই দুই দল থেকে আসা৷ এছাড়া রয়েছে সু চির এনএলডি থেকে বের হয়ে গঠিত নতুন দল এনডিএফ৷ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ৷ মোট ৩৭টি দলের তিন হাজারেরও বেশি প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সংসদের এক চতুর্থাংশ আসন সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের জন্য বরাদ্দ৷ অর্থাৎ নির্বাচনে কোন দল ২৫ শতাংশের বেশি আসন না জিতলে সংসদে সেনাবাহিনীই হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য