1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালয়েশিয়ায় প্রথমবারের মতো ‘বেবি হ্যাচ’

৩০ মে ২০১০

একটি শিশুর জন্ম৷ সবার কাছেই তা অনেক খুশির একটি বিষয়৷ কিন্তু এমনও অনেক মা আছেন যারা চাননি তার সন্তান এই পৃথিবীতে আসুক৷ ফলে শিশুর জন্মের পরপরই এসব মায়েরা দ্বিধায় পড়ে যান, এই ভেবে যে, কী করবেন তার সন্তানকে নিয়ে৷

https://p.dw.com/p/NdHZ
জার্মানির একটি বেবি হ্যাচছবি: AP

এমন অবস্থায় কেউ মেরে ফেলেন তার সন্তানকে, কেউবা রাস্তার পাশে, আবার কেউ আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলেন৷ এরপর নবজাতকের ভাগ্যে কী ঘটবে তা বলা মুশকিল৷ এমনো হতে পারে যে, দিনের পর দিন কেউ জানতেই পারল না শিশুটির খবর৷

তবে সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে এক নির্মম ঘটনা ঘটেছে৷ সেখানে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা এক শিশুকে উদ্ধার করার পর দেখা গেল যে, তার বাম হাত বন্য কুকুরে খেয়ে ফেলেছে৷

সরকারি এক হিসেব থেকে জানা গেছে, মালয়েশিয়াতে ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ৪০৭ শিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ আর এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ শিশুকে৷

এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ‘বেবি হ্যাচ' খুলেছে৷ বেবি হ্যাচ হলো এমন একটা জায়গা যেখানে মায়েরা জন্মের পর তার সন্তানকে যে কোনো জায়গায় ফেলে না দিয়ে সেখানে রেখে যেতে পারবেন৷ ঐ বেবি হ্যাচের দরজাটি খুললেই একটা ইনকিউবেটর পাওয়া যাবে৷ যেখানে নবজাতককে রাখতে হবে৷ এরপর দরজাটি বন্ধ করে দিলে এলার্ম বেজে উঠবে৷ এতে ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বুঝতে পারবেন যে, কোনো শিশুকে ইনকিউবেটরে রেখে যাওয়া হয়েছে৷

অর্ফানকেয়ার নামের ঐ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২০০ মা-বাবার নাম রয়েছে, যারা শিশু দত্তক নিতে ইচ্ছুক৷ বেবি হ্যাচ থেকে পাওয়া শিশুদের ঐ বাবা-মা'রা দত্তক নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অর্ফানকেয়ারের এক কর্মকর্তা৷ এবং এজন্য তাঁদের কোনো আইনি জটিলতায় পড়তে হবেনা বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন৷

মালয়েশিয়ার মহিলা, পরিবার ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী শাহরিজাত আব্দুল জলিল বলেছেন, এ ব্যবস্থার ফলে সন্তান পরিত্যাগ বা মেরে ফেলার পরিবর্তে মায়েরা একটা বিকল্প উপায় খুঁজে পাবেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী