মার্কিন-মেক্সিকান সীমান্তে
মেক্সিকোর তিহুয়ানা শহরের বাসিন্দারা মার্কিন মুলুকের ‘বেড়ার’ কাছে বেশ কিছু আজব বাড়িঘর বানিয়েছেন৷ ওদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ‘প্রাচীর’ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন৷
‘প্রাচীর’ তো আছেই, হলোই না হয় বেড়া
মেক্সিকো আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত প্রায় ১,৯০০ মাইল দীর্ঘ, যার মধ্যে প্রায় ৭০০ মাইল দেয়াল বা বেড়া দিয়ে আলাদা করা আছে৷ মেক্সিকোর ছ’টি প্রদেশের মধ্যে একটি হল বাহা ক্যালিফোর্নিয়া; তিহুয়ানা হলো তার সবচেয়ে বড় শহর৷
সুন্দর দৃশ্য
যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকো সীমান্তের বেড়ার কাছে অবস্থিত এই বাড়ির বাসিন্দারা ক্যালিফোর্নিয়ার ঝোপঝাড়, মাঠঘাট দেখতে পান৷
ট্রাম্পের সমালোচনা
মেক্সিকান স্থপতি কার্লোস টরেস গত তিন দশক ধরে সীমান্তের বেড়ার কাছে বাস করছেন৷ ট্রাম্পের পরিকল্পিত প্রাচীর অভিবাসন রুখতে পারবে বলে ৬৮ বছর বয়সি টরেস মনে করেন না৷ ‘‘এখানে প্রতি সপ্তাহে মানুষজন বেড়া পার হয়’’, দেখেছেন টরেস৷
গাছের মাথায় বাড়ি
৩৬ বছর বয়সি হোয়াকিন এসেছেন গুয়াতেমালা থেকে, পেশায় হোটেলের রাঁধুনি৷ তিনি সীমান্তের বেড়ার কাছে একটি গাছের ডালে তাঁর বিছানা পেতেছেন৷ মাথার উপর ছাদের বদলে পাতার ঝালর৷ ‘‘আমি এতোবার সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছি যে, সীমান্তরক্ষীরাও আমাকে চেনে৷ কিন্তু আমি কোনোদিন সফল হতে পারেনি’’, শোনালেন হোয়াকিন৷
ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের নিশান ও নিশানা
তিহুয়ানার বাইরে সীমান্তের বেড়ার কাছে একটি ‘বাড়ি’৷ গত মাসে মার্কিন কর্তৃপক্ষ মেক্সিকোর সীমান্ত বরাবর দেয়াল ও বেড়া সম্প্রসারণের প্রস্তাব পাঠানোর ডাক দেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচার অভিযানে বারংবার মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কথা বলেছেন৷
আকাশছোঁয়া
সীমান্তের বেড়ার পাশে যে ঝুপড়িটি, তার ছাদ ঢাকা হয়েছে বিজ্ঞাপনের শালু দিয়ে৷ অপরদিকে ঐ বেড়া দৈর্ঘ্যে, প্রস্থে ও উচ্চতায় বাড়াতে খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ইউরো৷
অনতিক্রম্য?
সীমান্তের বেড়ার পাশে খাড়া এই ঝুপড়িটি দেখলে মনে হতে পারে যে, বেড়া পার হওয়া খুব শক্ত হবে না – কিন্তু যে প্রাচীর তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা এর চেয়ে অনেক বেশি উঁচু হবে৷ সে প্রাচীর নাকি পাহাড় কিংবা গাছে চড়ার সর্বাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেও পার হওয়া যাবে না৷ এছাড়া প্রাচীরের ভিত হবে মাটির নীচে অন্তত ছয় ফুট, কাজেই সুড়ঙ্গ কাটার কোনো উপায় থাকবে না৷
দু’ধরনের প্রাচীর
ছবিতে একটি ছোট মেয়ে সীমান্তের বেড়ার পাশে তার বাড়ির আঙিনায় খেলছে৷ বেড়াটি করোগেটেড টিনের – কিন্তু আগামীতে যে বেড়া তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা হবে কিছুটা পুরো কংক্রিটের এবং কিছুটা ফাঁক ফাঁক করে থাম বসিয়ে৷