1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন মা দত্তক পুত্রকে রাশিয়া ফেরৎ পাঠালেন

১০ এপ্রিল ২০১০

সাথে একটি চিঠি: তিনি এই সন্তানকে চান না৷ ঝড় উঠেছে দু’দেশেই৷ রাশিয়া হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে সব রকমের দত্তক নেওয়া বন্ধ করার৷

https://p.dw.com/p/MsM0
রাশিয়ার একটি এতিমখানায় শিশুরা (ফাইল ছবি)ছবি: Alexej Imajew

মার্কিন মুলুকে আর্টিয়েম সাভিলিয়েভ-এর নতুন নামকরণ করা হয়েছিল জাস্টিন আর্টিয়েম হ্যানসেন৷ শেলবিভিল, টেনেসি'র টোরি হ্যানসেন একাই থাকেন৷ ছ'মাস আগে রাশিয়ার একটি অনাথাশ্রম থেকে তিনি আর্টিয়েম'কে দত্তক নেন৷ এবার তিনি সাত বছর বয়সের ছেলেটিকে একাই বিমানে তুলে মস্কো ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ সাথে কিছু বিস্কুট আর মিষ্টি, এবং একটি পত্র : ‘‘আমি আর এই শিশুটির অভিভাবক হতে চাই না৷'' মস্কোর এক সিটি গাইড হ্যানসেন'দের ই-মেল পেয়ে - এবং ২০০ ডলারের পরিবর্তে - আর্টিয়েম'কে বিমানবন্দর থেকে তুলে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয়৷ এটি হল একবিংশ শতাব্দীর একটি কাহিনী৷

হ্যানসেন তাঁর পত্রে আরো বলছেন, আর্টিয়েমের নাকি বিভিন্ন গভীর মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা আছে, এবং রুশ অনাথাশ্রমটি এ'ব্যাপারে তাঁর কাছে মিথ্যাচার করেছে৷ হ্যানসেন রুশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখছেন: ‘‘এই শিশুটির মানসিক স্থিতি নেই৷ ও' মারধোর করে এবং ওর বিভিন্ন সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা আছে৷ রুশ অনাথাশ্রমের কর্মীরা আমাকে মিথ্যা কথা বলেছেন এবং ভাঁওতা দিয়েছেন৷''

রুশ প্রতিক্রিয়া: প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ স্বয়ং মার্কিন টেলিভিশন সংস্থা এবিসি নিউজ'কে বলেছেন যে, ছেলেটিকে ফেরৎ পাঠানো একটি ‘‘অমানুষিক কাজ'', এবং সাম্প্রতিককালে রাশিয়া থেকে দত্তক নেওয়া শিশুদের প্রতি মার্কিনিদের আচরণ সম্পর্কে ‘‘বিশেষ উদ্বেগ'' প্রকাশ করেছেন৷ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ রাষ্ট্রীয় বেতারে বলেছেন, ব্যাপারটার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রুশ শিশুদের দত্তক নেওয়া বন্ধ রাখা উচিৎ৷

রাশিয়ায় শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত প্রতিনিধি হলেন পাভেল আস্তাখভ৷ তিনি বলেছেন, হ্যানসেনের বক্তব্য হল যে, এই শিশু তাঁর জীবন এবং তাঁর পরিবারকে নষ্ট করতে বসেছিল, তাঁর বন্ধুদের বিতাড়িত করছিল৷ অথচ আর্টিয়েমের কেস হিস্ট্রি থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সে একটি স্বাভাবিক শিশু এবং তার কোনো মানসিক কি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নেই - বলছেন আস্তাখভ৷ এখন নাকি আর্টিয়েম'কে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, মার্কিন মুলুকে তার কোনো অসুখবিসুখ হয়েছিল কিনা, অথবা তাকে মারধোর করা হয়েছিল কিনা৷ এ'জন্য তাকে আপাতত দু'সপ্তাহ কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে৷

আর্টিয়েম নিজে কি ভাবছে, সে সম্বন্ধে বার্তামাধ্যমগুলিতে কিছু বলা হয়নি৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই