মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন সুপারম্যান!
১ মে ২০১১আর তারপর থেকে ‘দ্য ম্যান অফ স্টিল' কে নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়৷
‘অ্যাকশন কমিকস নম্বর.৯০০'র একটি ছোট গল্পে সুপারম্যান বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পক্ষে নির্মিত আমার বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে আমি ক্লান্ত৷'' তিনি বলেন, তিনি সারা বিশ্বের জন্য কাজ করতে চান৷ কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়৷ নতুন এই গল্পটিতে যদিও সুপারম্যান কেবল তাঁর পরিকল্পনার কথা বলেছেন৷ এখনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছাড়ছেন একবারের জন্যও এমন ঘোষণা দেননি৷ কিন্তু তাতেই রক্ষণশীলদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে গেছে এ নিয়ে৷ বলা হচ্ছে, সত্য, ন্যায় এবং অ্যামেরিকান নীতির পক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে এই চরিত্রটি৷ রক্ষণশীলরা প্রশ্ন তুলছে সুপারম্যানের বিশ্বাস নিয়ে৷ বলছেন, এতদিনে সুপারম্যান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে চাইছে? এই চরিত্রটি যদি অ্যামেরিকাকে বিশ্বাস না করে, তাহলে কোনোকিছুকেই বিশ্বাস করতে পারবেনা৷
নতুন এই গল্পে সুপারম্যানের টুইস্ট চরিত্রটিকে দূরের কোনো গ্রহ থেকে সুপারহিরো হিসেবে বিশ্ব পরিদর্শনে আসতে দেখা যাবে৷ আর যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের একটি কৃষক পরিবার থেকে বেড়ে উঠবেন সুপারম্যান৷ এক পর্যায়ে শত্রু পক্ষকে মোকাবেলা করার জন্য বৈশ্বিক মিশনে বের হবেন৷
সুপারহিরো সুপারম্যানকে সর্বপ্রথম জনসম্মুখে নিয়ে আসা হয় যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮৩ সালে৷ কিন্তু এই চরিত্রটির অভিনেতা এবং লেখক দু'জনের জন্মই ক্যানাডায়৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম