1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন কলেজ ফুটবলে সাত শতাংশ অপরাধী

৪ মার্চ ২০১১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ফুটবল টিমের খতিয়ান নিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছে উঠেছে সারা সমাজের৷ দেখা যাচ্ছে, খেলোয়াড়দের অধিকাংশই পুলিশের খাতায় নাম তোলা আসামির দলে৷

https://p.dw.com/p/10TIc
ছবি: bilderbox

প্রতি ফুটবল দলেই রয়েছে অন্তত এক থেকে দু'জন করে আসামি৷ প্রতি ১৪ জন খেলোয়াড় বা অ্যাথলিটের মধ্যে এমন একজন করে রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের নজির রয়েছে৷ কোন কোন ক্ষেত্রে সেই অপরাধের পরিমাণ রীতিমত বড়োসড়ো৷

মোট ২৮৩৭ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে চালানো হয়েছিল একটি সমীক্ষা৷ তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ৷ সমাজবিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এই পরিসংখ্যান রীতিমত উদ্বেগের, মার্কিন সমাজের জন্য৷

কী বলছে এই সমীক্ষা? দেখা যাচ্ছে, স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড ম্যাগাজিন আর নামজাদা মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএস গত ছয়মাস ধরে যা তথ্য সংগ্রহ করেছে সমীক্ষা করতে গিয়ে তার ফলাফল বলছে, খেলোয়াড়দের মধ্যে যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে, তার ৪০ শতাংশের কাছাকাছি হল বড় মাপের অপরাধ৷ ৫৬টি এমন অপরাধের উদাহরণ মিলেছে, যেগুলি আসলে নৃশংস অপরাধের তালিকায় পড়ে৷ আর এইসব অপরাধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ফুটবল দলগুলির তালিকার প্রথম পঁচিশটি দলের সদস্যরা৷ এদের মধ্যে পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে ২২ জন এমন খেলোয়াড়, যাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ছোটবড় বিভিন্ন মাত্রার অপরাধের স্পষ্ট নথিবদ্ধ ঘটনা রয়েছে৷

স্বভাবতই মার্কিন ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েসনকে ভাবিয়ে তুলেছে এই পরিসংখ্যান৷ খেলাধুলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতীয় এই সংগঠনের প্রধান মার্ক এমমরাট সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, শতকরা দুই শতাংশ খেলোয়াড়ও যদি অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তাহলেই সেটা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি৷ আর এখন দেখা যাচ্ছে শতকরা সাত শতাংশ৷ খেলোয়াড়দের মধ্যে এই মাত্রায় অপরাধী ঢুকে পড়লে সেটা তো বিপদজনক!

এমমরাটের মন্তব্য তো আছেই, সমাজবিজ্ঞানীরাও সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন৷ তাঁদের মতে, এই ধরণের উদাহরণ সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করার ক্ষমতাও রাখে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জান্নাতুল ফেরদৌস