মার্কিন উপস্থিতি প্রতিহত করার আহ্বান শিয়া নেতার
৮ জানুয়ারি ২০১১প্রায় চার বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে ইরানে কাটানোর পরে দেশে ফিরে শনিবার সমর্থকদের সামনে মুক্তাদা আল-সাদরের এটিই প্রথম ভাষণ৷ গত মাসে সাদরের ‘আন্দোলন' ৭ জন মন্ত্রী ও পার্লামেন্টে ৩৯টি আসন নিয়ে নতুন সরকারে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি নিশ্চিত করেছে৷
রাজধানী বাগদাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে নাজাফে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশ্যে এই শিয়া নেতা বলেন, আমরা এখনও যোদ্ধা৷ তাই প্রতিহত করা থামিয়ে দিলে হবে না৷ কারণ আমাদের লক্ষ্য দেশ থেকে দখলদারিদের বের করে দেওয়া৷ গত বুধবারে তিনি ইরান থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং এরপরে এটিই তাঁর প্রথম ভাষণ৷ ইরাকের নতুন সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্যে শিয়া নেতা সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার যদি জনগণকে রক্ষা করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সেবামূলক কাজ করে তবে সরকারকে তিনিও সমর্থন দেবেন৷ ভাষণের শুরুতেই সাদর অ্যামেরিকা ও ইসরায়েলকে ‘না' বলার জন্যে, এবং দখলদারিদের প্রত্যাহার করার জন্যে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান৷
২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পরে, সাদরের সমর্থক মেহদি আর্মীর, মার্কিন এবং ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে বহুবার সংঘর্ষ হয়েছে৷ এখনও প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে ইরাকে৷ তবে তারা আছে বাগদাদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে হওয়া একটি নিরাপত্তা চুক্তির আওতায়৷ চুক্তি অনুযায়ি, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা রয়েছে৷ ২০১০ সালরে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইরাকে কমব্যাট অভিযান শেষ হবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পরে, বাদবাকি মার্কিন সৈন্যরা ইরাকে রয়েছে প্রধানত ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যে৷ তবে কমব্যাট অভিযান শেষ হওয়া সত্ত্বেও, আত্মরক্ষার জন্যে মার্কিন সৈন্যদের পাল্টা গুলি করার অধিকার রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তির আওতায়, ইরাকি বাহিনী যদি তাদেরকে কোন অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্যে অনুরোধ করে তবে মার্কিন সৈন্যরা যে কোন অভিযানেও অংশ নিতে পারবে৷
পেন্টাগন ২০০৬ সালে শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সাদরকে ইরাকের স্থিতিশীলতার জন্যে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে৷ সাদরের বাহিনী সবচেয়ে সক্রিয় এবং ভয়ংকর সশস্ত্র শিয়া বাহিনী হিসেবে পরিচিত৷ হাজার হাজার সুন্নিকে হত্যার জন্যে ওয়াশিংটন মেহদি বাহিনীকে দায়ী করে থাকে৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা:আরাফাতুল ইসলাম