'Broad and long view'
১৩ নভেম্বর ২০১৪ডয়চে ভেলে: ওবামা-থেইন সেইন বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে কী কী বিষয় থাকতে পারে?
লিন কুয়ক: যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা বেশি, সেগুলো হলো, রাখাইন রাজ্য এবং সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি, ‘রাখাইন স্টেট অ্যাকশন প্ল্যান'-এর পর্যালোচনা, শান্তি প্রক্রিয়া এবং ২০১৫ সালে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংবিধান সংস্কার এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে একটা নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া৷ আরো রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়া এবং বিচার বিভাগের সংস্কারের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে৷
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে৷ গত এক বছরে এই বিষয়ে কতটুকু পরিবর্তন এসেছে?
এই বিষয়ে মিয়ানমারে ২০১৩ সালে যে উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চোখে তা, ‘অসমান'৷ সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমাবেশ এবং সংগঠন করার স্বাধীনতার কথা৷ ২০১৩ সালের নভেম্বরে যে ৬৯ জন রাজনৈতিক কর্মীকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল, সে বিষয়টিরও উল্লেখ আছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে৷ তুমুল বিতর্ক এবং আইনের সংস্কারের স্থান হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় মিয়ানমারের সংসদেরও বেশ প্রশংসা হচ্ছে৷
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া৷ সেনাবাহিনী এবং জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে কাজ করার সময় আটক এক সাংবাদিক অক্টোবরের শুরুর দিকে সেনাবাহিনীর কাছে আটক থাকা অবস্থাতেই মারা যান৷ আইনের সংস্কার নিয়েও প্রশ্ন আছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, আইন সংস্কারের প্রক্রিয়াটি ‘অস্বচ্ছ'৷ বই-পুস্তকে এখনো পুরনো অনেক আইন রয়ে গেছে এবং মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ২০১৩ সালে ভূমি অধিকার এবং কৃষকের অধিকার সংশ্লিষ্ট আইন কার্যকর হয়েছে৷ যদিও ভূমি দখল রোধের নিশ্চয়তা পর্যাপ্ত নয়- এসব আইন নিয়ে এমন সমালোচনাও আছে৷
সরকার এবং সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়েছে৷ কিন্তু এটাকে ছাপিয়ে গেছে রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা৷ রাখাইন রাজ্যসহ অন্যান্য জায়গায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের কারণে বারবার মিয়ানমারের সমালোচনা করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷