মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র-রাজ্য অভিযানের সম্ভাবনা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০রাজ্যের মাওবাদী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-কে মঙ্গলবার রাজভবনে ডেকে পাঠালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন৷ সংবিধান মোতাবেক রাজ্যপাল এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে রিপোর্ট নেওয়ার জন্য তলব করতেই পারেন৷ কিন্তু মাওবাদীদের নেতা কিষেনজি-র শর্ত এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি নাকচ করে দেওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের এভাবে ডেকে পাঠানোটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ কারণ নারায়ণন শুধু রাজ্যপাল নন, তিনি প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান এবং প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা৷ এর আগে, শিলদার ঘটনার পর পরই তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছিলেন৷ পরিস্থিতি নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করেছিলেন রাজ্য পুলিশের আই জি এবং ডিজি-র সঙ্গে৷ সেই প্রেক্ষিতে এদিনের রাজভবন বৈঠক অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী৷
এদিন রাজ্য পুলিশেও বড়সড় রদবদল করা হল৷ পশ্চিমাঞ্চলের নতুন আই জি হলেন জুলফিকার হাসান৷ তিনি এতদিন ছিলেন মহাকরণে, আই জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পদে৷ পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ গোটা জঙ্গল মহল থাকবে হাসানেরই হাতে৷ রদবদল হল পুলিশের মেদিনীপুর রেঞ্জের ডি আই জি পদেও৷ নতুন ডি আই জি হলেন অনিল কুমার৷
এদিকে কাঁটাপাহাড়িতে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটির সভাপতি এবং দলের দু নম্বর নেতা লালমোহন টুডু৷ যৌথ বাহিনী জানাচ্ছে, সোমবার রাতের অন্ধকারে কাঁটাপাহাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার চেষ্টা হয়৷ গুলির জবাবে তারা পাল্টা গুলি চালালে মৃত্যু হয় লালমোহন টুডু-সহ তিন জনের৷ যদিও জনগণের কমিটির অভিযোগ, পুলিশ ক্যাম্পে কোনও হামলা হয়নি৷ সংঘর্ষও নয়, লালমোহনবাবুকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে৷ এদিন তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়৷ প্রতিবাদে জঙ্গলমহলে বুধবার থেকে সাত দিনের বনধের ডাক দিয়েছে জনগণের কমিটি৷ কাঁটাপাহাড়ির পরিস্থিতি রীতিমত বিস্ফোরক৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন