1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার রদবদল আসন্ন

৬ জুলাই ২০১০

এমনটাই শোনা যাচ্ছে নতুনদিল্লির রাজনৈতিক অঙ্গনে৷ বিশেষ করে এবিষয়ে খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ারের সঙ্গে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক এই সম্ভাবনাকে আরো উস্কে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/OBda
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: Fotoagentur UNI

শোনা যাচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশনের আগেই যাতে মন্ত্রিসভার রদবদল করা যায়, সেজন্য কংগ্রেস পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে৷ সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২৬শে জুলাই৷

প্রথমে হাত পড়বে এন.সি.পি নেতা শারদ পাওয়ারের খাদ্য, কৃষি ও গণবন্টন দপ্তরে৷ কিছুদিন ধরেই পাওয়ার তাঁর কাজ হাল্কা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তিনি৷ কারণ তিনি নাকি এখন দলের এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের কাজে বেশি সময় দিতে চান৷ উল্লেখ্য, বিরোধি দলগুলির অভিযোগ, খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে শারদ পাওয়ারই দায়ি৷ কারণ এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের জন্য তিনি যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না৷

Der frühere Außenstaatssekretär und Autor Shashi Tharoor in Neu Delhi
শশী থারুরছবি: UNI

দ্বিতীয় কোপ পড়তে পারে টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজার ওপর৷ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে নানা দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ করে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন নিয়ে৷ বিরোধি পক্ষের অভিযোগ, এই কাজে তিনি সরকারের এক লক্ষ কোটি টাকা লোকসান করেছেন৷ বিষয়টি তদন্ত করছেন কেন্দ্রিয় তদন্ত ব্যুরো৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালি আছে প্রতিমন্ত্রীর পদ, যে পদে ইস্তফা দিতে হয় শশী থারুরকে আই.পি.এল বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে৷ কংগ্রেস জোট মন্ত্রিসভার বড় শরিক দল তৃণমূলের দাবি, দলের দুজনেকে দিতে হবে স্বাধীন দপ্তরের দায়িত্ব৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী দীনেশ দ্বিবেদির সঙ্গে আমলাদের বিরোধে আপাততঃ তিনি আছেন অস্বস্তিতে৷ এছাড়া রাহুল গান্ধির আপন ক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশ থেকে নেয়া হতে পারে একজনকে৷ সম্ভবতঃ আর.এল.ডি নেতা অজিত সিংকে৷ রসায়ন মন্ত্রী এম.কে আলাগিরি বিধানসভা ভোটের আগে স্বরাজ্য তামিলনাডু রাজনীতিতে যেতে বিশেষ আগ্রহী৷ তবে মন্ত্রীদের রদবদলের প্রধান মাপকাঠি হবে গত এক বছরে তাঁদের কাজকর্মের সাফল্য ও ব্যর্থতা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ