1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে ইউরোপের উদ্যোগ

১১ অক্টোবর ২০১০

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার ভারকেন্দ্র যে শুধু ওয়াশিংটনে নয়, আজ তার একটা দৃষ্টান্ত দেখা গেল৷ জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলেন৷

https://p.dw.com/p/PbPg
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যার্না কুশনারছবি: AP

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যার্না কুশনার ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিগেল আনখেল মোরাতিনোস মধ্যপ্রাচ্যে ইউরোপের ভূমিকা আরও জোরদার করতে সপ্তাহান্তে ঐ অঞ্চল সফরে বেরিয়েছেন৷ প্রথমে তাঁরা জেরুসালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবামানের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ সোমবার তাঁরা আম্মানে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেন৷ কুশনার ও মোরাতিনোস আম্মানেই আলাদা এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন৷ বাদশাহ আব্দুল্লাহ তাঁদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে ইউরোপের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷

Spanien Außenminister Miguel Angel Moratinos
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিগেল আনখেল মোরাতিনোসছবি: AP

ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েল দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অত্যন্ত শীতল অভ্যর্থনা জানিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, লিবামান এমনকি তাঁদের সরাসরি বলেছেন, ‘‘এখানে এসে আমাদের সংকট সমাধানের পথ দেখানোর চেষ্টা না করে আগে ইউরোপের নিজস্ব সব সমস্যার সমাধান করুন৷'' মোরাতিনোস অবশ্য এতে মোটেই দমে জাননি৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমাদের যদি সত্যি কোনো ভূমিকা না থাকত, ক্ষমতা বা প্রভাব না থাকত, তাহলে হয়তো আমাদের বন্ধু লিবামান এমন প্রতিক্রিয়া দেখাতেন না৷'' কুশনার বলেন, এটা ঠিক যে ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই স্তরে প্রভাব খাটাতে পারে না৷ তবে ইউরোপ বহু শতক ধরে চলে আসা অনেক সংকটের সমাধান করতে পেরেছে৷

ইউরোপ কী সফল হতে পারবে?

বারাক ওবামার প্রশাসন সম্প্রতি শান্তির যে উদ্যোগ শুরু করেছে, তাতে সত্যি এখনো তেমন ফল দেখা যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় ইউরোপ গোটা বিষয়টিকে জাতিসংঘ, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে নিয়ে আসতে চাইছে৷ কুশনার বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজ অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করে থাকতে পারে না৷ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চান কুশনার ও মোরাতিনোস৷ এটি একটি প্রতীকি পদক্ষেপ হতে পারে৷ ইউরোপও মনে করে, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনার মধ্যেই আসল সমাধানসূত্র উঠে আসতে হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক