মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আজ মিশরে
১৮ জুলাই ২০১০তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত জর্জ মিচেল৷ তবে ফিলিস্তিনি ও ইরসরায়েলের শীর্ষ নেতার মধ্যে সরাসরি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মিশরের কর্মকর্তারা৷
শান্তি আলোচনার অগ্রগতি কতদূর
এখন পর্যন্ত আসলে কোনো অগ্রগতি হয়েছে – একথা বলা যাবেনা৷ কারণ সরাসরি আলোচনায় যেতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস শনিবার দু'টি শর্তের কথা বলেছিলেন৷ এগুলো না মানলে তাঁরা সরাসরি আলোচনায় বসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন আব্বাস৷ কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল৷
জর্জ মিচেলের মধ্যপ্রাচ্য সফরজর্জ মিচেলের মধ্যপ্রাচ্য সফরের ফলে শান্তি প্রক্রিয়ার কোনো অগ্রগতি হলো কি না তা এখনো বোঝা যাবেনা৷ কারণ তিনিও কিন্তু এখন কায়রোতে রয়েছেন৷ এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে মুবারকের সাক্ষাতের সময় কিন্তু মিচেলও উপস্থিত থাকবেন৷ অর্থাৎ মুবারক ও মিচেল দু'জনে মিলেই আব্বাস আর নেতানিয়াহুকে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন৷ তাই এই দুই আলোচনা শেষেই আসলে বোঝা যাবে মিচেল সফল হলেন কি না৷
আব্বাস-মিচেল বৈঠক
বৈঠক সম্পর্কে ফিলিস্তিনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আব্বাস মিচেলের কাছ থেকে কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিষ্কার মনোভাব জানতে চেয়েছেন৷ বিশেষ করে পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েল যে নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ব্যাপারে৷ কারণ পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায় ফিলিস্তিনিরা৷ তাই সেখানে যে কোন ধরণের ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে তাঁরা৷ এছাড়া ইসরায়েল বসতি স্থাপন পুরোপুরি বন্ধ করলেই কেবল সরাসরি আলোচনা সম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ৷ তবে ইদানিং সেই শর্ত থেকে ফিলিস্তিনিরা সরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে৷ কারণ প্রেসিডেন্ট আব্বাসের মুখে গতকালই শোনা গেল কিছু নতুন শর্তের কথা ৷ এর মধ্যে রয়েছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণ৷ আব্বাস চান, ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের আগে ফিলিস্তিনের যে সীমানা ছিল, সেটা মেনে নিক ইসরায়েল৷ এছাড়া ফিলিস্তিন সীমানায় পাহারায় রাখতে চান আন্তর্জাতিক বাহিনীকে৷ আসলে এই প্রস্তাবটা এসেছে ইসরায়েলের কারণেই৷ কারণ সীমানায় ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পাহারা বসাবে, এটা চায় না ইসরায়েল৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন