মধ্যপ্রাচ্য আলোচনা ইতিবাচক, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ওয়াশিংটনে সাফল্যের পর দ্বিতীয়দফার শান্তি আলোচনা কোন দিকে
মিশরের শার্ম এল শেখ-এ মঙ্গলবারের ত্রিপাক্ষিক আলোচনা কেন্দ্রীভূত ছিল প্রধান বিষয়গুলিতে৷ আড়াই ঘন্টা ধরে চলেছে মঙ্গলবারের বৈঠক যাতে অংশ নিয়েছেন প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ বৈঠকের পর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জর্জ মিচেল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আব্বাস এবং নেতানিয়াহু দুজনেই প্রধান বিষয়গুলি নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কথা বলার আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ যার মধ্যে অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ থামানো অবশ্যই একটা৷
এই ইস্যুতেই প্যালেস্টাইন আলোচনায় যোগ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল
প্যালেস্টাইনের সেই আশঙ্কা সম্ভবত বাস্তবে পরিণত না হতে পারে৷ কারণ, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বসতি সম্প্রসারণ স্থগিত রাখার সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ আব্বাস বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি নতুন করে এই সময়সীমার বিস্তার না বাড়ায় তিনি আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াবেন৷ কিন্তু আজকের আলোচনার পর জর্জ মিচেলের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বোঝা গেছে যে এই সময়সীমা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে নেতানিয়াহুর কাছ থেকে৷
আলোচনার জন্য জমি এখন বেশ শক্ত
মিচেল সাংবাদিক সম্মেলনে বৈঠক বিষয়ে কিছু কথা বললেও পুরোপুরি খুলে জানান নি ঠিক কি কি কথা হয়েছে আব্বাস এবং নেতানিয়াহু-র মধ্যে৷ প্রসঙ্গত, বৈঠকে হাজির হিলারি ক্লিন্টনও এ বিষয়ে মুখ খোলেন নি৷ তবে প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েলের দুই নেতার মধ্যে যে ভবিষ্যতে এই আলোচনাকে ইতিবাচক দিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা শক্ত জমি তৈরি হয়েছে, তা খোলসা করে বলতে ভোলেন নি মিচেল৷ আরও জানিয়েছেন, দুই নেতাই চাইছেন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই আলোচনাকে তার উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যে চালিয়ে নিয়ে যেতে৷ বলা বাহুল্য, শান্তি প্রক্রিয়ার আদত লক্ষ্য হল স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের স্থাপনা, মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্যতা এবং ষাটের দশকের যুদ্ধের পর ইসরায়েল দ্বারা অধিকৃত প্যালেস্টিনিয় ভুখন্ডের মালিকানা নির্দ্ধারণ৷ আব্বাস এবং নেতানিয়াহু দুই নেতাই নাকি এই পুরো বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তবেই এগোচ্ছেন৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ