1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার কাজ শুরু

২৯ মে ২০১০

মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে৷ এ ব্যাপারে এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছে এনপিটি বা পরমাণু অস্ত্রবিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১৮৯টি দেশ৷

https://p.dw.com/p/Ncm1
বান কি-মুন ২০১০২ সালে একটি সম্মেলন আয়োজন করবেনছবি: picture-alliance / dpa

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গত প্রায় একমাস ধরে চলছিল এনপিটি চুক্তির রিভিউ সম্মেলন৷ প্রতি পাঁচ বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন৷ সেখানে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চুক্তির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷ এবারের সম্মেলন শেষে একটি ‘ডিক্লারেশন' ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে সবাই একত্রে কাজ করতে রাজি হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে৷

এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১২ সালে ইরান সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজনের কথাও বলা হয়েছে ঐ ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্রে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনকে এই সম্মেলন আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরায়েলকে এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো৷ তবে এনপিটি ঘোষণার সমালোচনা করেছে ইসরায়েল৷ দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন যে, ঘোষণাটি ‘হাস্যকর'৷ কারণ সেখানে ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার নাম নেই৷ উল্লেখ্য, এই তিনটি দেশের পরমাণু অস্ত্র থাকলেও তারা ইসরায়েলের মতোই এখনো এনপিটিতে স্বাক্ষর করেনি৷ তবে ইসরায়েলের যে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তা দেশটি এখনো স্বীকার করেনি৷ এছাড়া এনপিটি ঘোষণাতে ইরানের নাম না থাকাকে দু:খজনক বলেছে ইসরায়েল৷ এর কারণ হিসেবে দেশটির ঐ সরকারি কর্মকর্তা বলছেন যে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ বহুবার ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তথ্য প্রকাশ করলেও এনপিটি তাদের ঘোষণায় বিষয়টির উল্লেখ না করা সত্যিই দু:খজনক৷

এদিকে শুধুমাত্র ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করায় এনপিটি'র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ প্রেসিডেন্ট ওবামার আশঙ্কা, এর ফলে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকতে পারে ইসরায়েল৷ তবে এই বিষয়টি ছাড়া এমনিতে এনপিটি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ ইরানও এনপিটি ঘোষণায় বেশ খুশি৷ বিশেষ করে ইসরায়েলের নাম উল্লেখ থাকায়৷ আইএইএ-তে ইরানের দূত আলি আসগর সোলতানিয়ে বলেছেন, ‘‘সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ কিন্তু তারপরও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে৷'' তাঁর এই কথার কিছু যথার্থতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷ কেননা পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধ পাঁচটি দেশ তাদের অস্ত্রের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী