1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে পারমাণবিক নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলন

১৩ এপ্রিল ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এখন চলছে পারমাণবিক নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন৷ দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনের আজ শেষ দিন৷ দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷

https://p.dw.com/p/MvRS
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওছবি: picture alliance / dpa

বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ওবামা বলেছেন, ‘‘শুধু আলোচনা করেই দায়িত্ব শেষ করলে হবেনা৷ প্রতিটি দেশকে এটা নিশ্চিত করতে হবে, যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কাছে পারমাণবিক অস্ত্র না পৌঁছায়৷''

তিনি বলেন, শীতল যুদ্ধ শেষ হয়েছে মাত্র দুই দশক আগে৷ সেই সাথে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনাও কমে এসেছে৷ কিন্তু দিনে দিনে বাড়ছে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা৷ আল-কায়েদার মত শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পারমাণবিক অস্ত্র পাবার জন্য মুখিয়ে আছে৷ যদি কোনোভাবে তারা এটা অর্জন করতে সক্ষম হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তারা এর ব্যবহার করবে৷ তাই শুধু অঙ্গীকার নয়, জনগণের নিরাপত্তা বিধানে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসে গেছে৷

Angela Merkel auf dem Atomgipfel
সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেছবি: picture alliance/dpa

সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ওবামার শীর্ষ উপদেষ্টা জন ব্রেনান বলেছেন, ‘‘অনেক দেশ আছে যাদেরকে পারমাণবিক উপাদানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কাজ করতে হবে৷''

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, বিশ্বের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর দেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ৷ তাই পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেন কোনভাবেই সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে না পৌঁছায়৷ উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মাধ্যমেই পারমাণবিক অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে যাবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী গিলানি সোমবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন৷ এছাড়া পারমাণবিক চুল্লিতে বিদীর্ণ করা যায় এমন উপাদানের উৎপাদন বন্ধে পাকিস্তানের প্রতি বিশেষজ্ঞদের আহ্বান গিলানি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে বিরোধ থাকার কারণে পাকিস্তানের পর্যাপ্ত প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

এদিকে এই সম্মেলনের কোনো সিদ্ধান্ত ইরানকে তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে পারবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্মেলনে যদি ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মত সিদ্ধান্তও নেয়া হয়, তবুও আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব৷'' তবে তিনি মনে করেন না যে, চীন ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সমর্থন জানাবে৷

দিনব্যাপী আলোচনা শেষে একটি যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে৷ পরবর্তী সম্মেলন হবে দক্ষিণ কোরিয়ায়, ২০১২ সালে৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক