ভেনিসের কার্নিভাল
২০১৭ সালের ভেনিস কার্নিভাল শুরু হয়েছে শহরটির প্রখ্যাত ক্যানাল বা খালগুলির উপর একটি চোখ ধাঁধানো শো দিয়ে৷ যেমন মুখোশ, তেমন সাজগোজ, তেমন দর্শকদের ভিড়...৷
গন্ডোলা ছাড়া ভেনিস হয় না...
গন্ডোলার পর গন্ডোলা, উৎসবের সাজে, যেন ‘খালের’ জলে পদ্ম ফুটেছে! এ বছর সাগর আর চাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘সাগরের রানি’ বেরিয়েছেন ভেনিসের মুখ্য কানারেজিও খালের জল থেকে, সঙ্গে সাগরের নানা কাল্পনিক প্রাণী৷
এক অপূর্ব পরিবেশ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূলমন্ত্র হলো ‘সৌন্দর্য, সমুদ্র ও অহমিকা’৷ শিল্পীদের কয়েকজন যেন প্রজাপতির নীল পাখা মেলে বাতাসে ভাসছেন – নীচে মশাল বয়ে নিয়ে যাচ্ছে গন্ডোলিয়াররা৷
সে অনেকদিন আগের কথা...
ভেনিস কার্নিভাল নাকি শুরু হয় ১১৬২ সালে৷ বহু দশক ধরে বন্ধ থাকার পর এই কার্নিভাল আবার শুরু হয় ১৯৮০ সালে৷ ভেনিসের জনসংখ্যা সাড়ে আট লাখ, কিন্তু কার্নিভালের সময় ত্রিশ লাখ মানুষ ভেনিসে আসেন কার্নিভাল দেখতে৷
কে এই নারী? রোমাঞ্চের সঙ্গে কিছুটা রহস্য...
কার্নিভাল বলতে লোকে প্রধানত নাচ-গান-ভাঁড়-শোভাযাত্রার কথাই ভাবে৷ কিন্তু ভেনিস কার্নিভাল যেন কিছুটা রহস্যময়, কিছুটা অজ্ঞাত৷ মুখোশ পরে বলনাচ, গন্ডোলার সারি, সেই সঙ্গে এক বিউটি কনটেস্ট – এক আলাদা জগৎ!
গন্ডোলায় অপরিচিতা
বিগত অতীতের বেশবাসধারী মানুষ ভেনিসের (জল) পথে পথে: ডামাস্ক, ব্রোকেড, ভারী সিল্কের তৈরি ড্রেস আর মুখের বদলে ভেনিসের প্রখ্যাত মুখোশ পরে৷
নানা ধরনের মুখোশ
নানা ধরনের মুখোশ দেখতে পাওয়া যায় ভেনিসের কার্নিভালে৷ ‘বাউতা’ হলো গিল্টি করা একটি মুখোশ, যা সারা মুখ ঢাকে – থুতনির কাছটা হয়ত পাখির ঠোঁটের মতো ব্যাঁকানো, কাজেই মুখোশধারী মুখোশ না খুলেই খেতে, পান করতে ও কথা বলতে পারেন৷ ‘কলম্বিয়ানা’ হলো একটি আধা মুখোশ, প্রায়শই সোনালি-রূপোলি রং বা পালক দিয়ে সাজানো৷
কার্নিভালের পোশাক
কার্নিভালমোদীরা সেন্ট মার্কস স্কোয়ারের প্রখ্যাত কাফে ফ্লোরিয়ান কফির দোকানটিতে মিলিত হয়ে নিজেদের সাজপোশাক দেখেন ও দেখান৷
দেবদূতের মর্তে আগমন
প্রথাটির উৎপত্তি নাকি রেনেসাঁসের আমলে৷ আগের বছরের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিজয়িনী একটি তার বেয়ে সেন্ট মার্কস টাওয়ারের ওপর থেকে সটাং নেমে আসেন সেন্ট মার্কস স্কোয়ারের মাঝখানে জনতার ভিড়ে৷ কাজেই এটাকে দেবদূতের উড়াল না বলে ‘পরীর পাখনায়’ বললে কোনো দোষ থাকে না৷
প্রতিবেদন: নাডিনে ব্যার্গহাউসেন/এসি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ