ভুভুজেলা: ‘‘কানে গুঁজেছি তুলো''
১৪ জুন ২০১০লিওনেল মেসি বলেছে: মাঠে দলের অন্য কাউকে কিছু বলার সুযোগ নেই, সবাই যেন কালা৷ ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো তো ভুভুজেলা'র ওপর ভীষণ চটা: ঐ আওয়াজে সে নাকি বিরক্ত হয়, এবং পর্তুগীজ দলের অন্য অনেকেরও নাকি সেই দশা৷ জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ বলেছেন: ‘‘আমার আর লাইনের ধার থেকে চেঁচামেচি করে কোনো লাভ নেই - কেউ শুনতেই পাবে না৷ কাজেই আমি সাইন ল্যাংগুয়েজ দিয়ে কাজ চালাব৷'' কিন্তু বিশ্বকাপের সংগঠন কমিটি যখন ভুভুজেলা'কে টুর্নামেন্টের প্রতীক বলেছেন, এবং স্বয়ং ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার বলেছেন: ‘‘আমাদের পক্ষে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয় এবং আমরা তা করতেও চাই না'' - তখন উপায়?
আপাতত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকাতে যতো না ভুভুজেলা বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে বেশী বিক্রি হচ্ছে ডাক্তারখানা থেকে ‘ইয়ার প্লাগ' বা কান বন্ধ করার বস্তু৷ যদিও জার্মান দলের ডাক্তার টিম মায়ার বলেছেন, ও'তে কোনো লাভ হবে না৷ ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ডাক্তারদের কাছে নাকি এক ধরণের নতুন রোগী আসছে - ফুলে ওঠা ‘ভুভুজেলা ঠোঁট' নিয়ে!
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্লাস্টিকের ভুভুজেলাগুলো এক ইউরোপেই বিক্রি হয়েছে প্রায় পনেরো লক্ষ৷ তবে ইউরোপীয়রা সাবধানী৷ রবিবার জার্মানির প্রথম খেলা চলাকালীন বিভিন্ন শহরে পাবলিক ভিউয়িং'এ ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ আর ইউরোপে বসে যারা টেলিভিশনে খেলা দেখছেন, তাদের কাছে স্টেডিয়ামে ভুভুজেলার একটানা আওয়াজ শোনায় যেন সুবিশাল এক বোলতার চাকের মতো৷ একটা টিপ দেওয়া যেতে পারে: টিভি'টা স্টিরিও'য় না রেখে মোনো'য় রাখলে কমেন্টারিটা স্পষ্ট হয় এবং বোলতার ঝাঁক কিছুটা দূরে চলে যায়৷
ও হ্যাঁ, দেশবিদেশে গাল খেয়ে প্লাস্টিক ভুভুজেলার নির্মাতা এবার একটা অন্য মাউথপীস যুক্ত ভুভুজেলা বাজারে ছাড়ছে: তার আওয়াজ নাকি হবে ২০ ডেসিবেল কম৷ মনে রাখবেন: ভুভুজেলার আওয়াজ হল ১২৭ ডেসিবেল, সে তুলনায় রেফারির হুইসল মাত্র ১২২ ডেসিবেল৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন