1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুভুজেলায় ভয় কি?

১৭ জুন ২০১০

মাঠে খেলা চলছে, আর স্টেডিয়ামজুড়ে বনবন শব্দ৷ সে শব্দ ভুভুজেলার৷ তবে কি ভুভুজেলার শব্দে হারিয়ে যাবে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়ার চিরায়ত পদ্ধতি৷ না, তা হতে দিতে চায় না আফ্রিকানরা৷

https://p.dw.com/p/Nt7Q
ভুভুজেলার দাপট দক্ষিণ আফ্রিকারও অনেকে পছন্দ করছে নাছবি: AP

নাচ চলছে গ্যালারিতে, তা দেখা যাচ্ছে৷ তবে তার সঙ্গে যে গানও চলছে, সেটা বোঝার উপায় অন্তত এবার নেই৷ কারণ একটাই, ভুভুজেলা৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় এবারের বিশ্বকাপে সব আওয়াজকে ছাপিয়ে যাচ্ছে এ বাঁশির শব্দ৷ অনেকে বিরক্ত, এমনকি খেলোয়াড়রাও৷ রেফারির বাঁশির শব্দও নাকি ভালোভাবে শোনা যাচ্ছে না৷ তবুও ভুভুজেলা বন্ধে নারাজ ফিফা৷ খোদ ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার বলছেন, ভুভুজেলা এবারের বিশ্বকাপের প্রতীক, তাই এটা নিষিদ্ধ করার কোনো চিন্তা নেই৷

ভুভুজেলা আছে, তাই বলে কি থাকবে না চিরচেনা বিষয়গুলো৷ চেঁচিয়ে বলা – ‘‘কাটিয়ে এগিয়ে যাও, শট মারো গোলে৷’’ কিংবা গানে গানে মাতিয়ে তোলা৷ ভুভুজেলার আধিপত্যেও তাই হাল ছাড়তে রাজি নন অনেকে৷ তেমনই ব্লুমফন্টেন কেলটিক৷ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিমিয়ার লিগে খেলে এ ক্লাবটি৷ এর সমর্থকরা বলছেন, তারা গান চালাবেন, চেঁচিয়ে উৎসাহ যোগাবেন খেলোয়াড়দের৷

জুলু’দের এমন নৃত্যও দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহ্যের অঙ্গ
জুলু’দের এমন নৃত্যও দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহ্যের অঙ্গছবি: AP

এদেরই একজন পুলে মালেবো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা গেয়ে যাবো, নেচে যাব৷ এটাই আমাদের আফ্রিকার সংস্কৃতি৷ আর সেটাই তুলে ধরবো আমরা৷’’ ভুভুজেলার ওপরও প্রচণ্ড বিরক্ত মালেবো৷ তার কথায়, এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়৷ উড়ে এসে জুড়ে বসেছে৷

ব্লুমফন্টেনে যাদের খেলা আছে, তার মধ্যে নাইজেরিয়া ও হন্ডুরাস ইতোমধ্যে কেলটিকের সমর্থন চেয়েছে৷ একথা জানালেন মালেবো৷ সঙ্গে বললেন, ‘‘নাইজেরিয়া আমাদের সমর্থন পাবে৷ কারণ তারা আফ্রিকান৷ তারাও আমাদের মতো নাচে-গায়৷ তাদের খেলোয়াড়রাও আমাদের চেনা৷ তবে হন্ডুরাসকে সমর্থন দেবো কি না, তা ভাবতে হবে৷ তারা কেমন খেলে, তা আমরা জানি না৷ যদি আক্রমণাত্মক খেলে, তবে সমর্থন পেতে পারে৷ কিন্তু যদি গোল দেওয়ার বদলে গোল না খাওয়াই তাদের লক্ষ্য হয়, তাহলে বলবো – আমাদের আশায় থেকে লাভ নেই৷’’

গ্যালারিতে বসে কীভাবে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়া যায়, কেলটিক সমর্থকদের তাও শিখিয়ে দেওয়া হয়৷ এ প্রশিক্ষণের কাজটি মালেবোও করেন৷ তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা মাঠে আর আমরা গ্যালারিতে থাকলেও দুইয়ের মধ্যে একটা টেলিপ্যাথিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ যখন মনে হয়, খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে না, তখন আমরা এক ধরনের গান গাই৷ আবার যখন তারা গোল দেয়, তখন অন্য গান৷ সুরে সুরে বলে দিই – একটাই যথেষ্ট নয়, আরও গোল চাই৷

নিজের ক্লাব নিয়েও গর্বিত মালেবো৷ তিনি বলেন, এ ছাড়া আমাদের জীবন অসম্পূর্ণ৷ আর ভুভুজেলা যতই বাজুক, আমরা আমাদের মতো করেই মাতিয়ে রাখবো গ্যালারি৷ যারা খেলতে আসছে, তাদের বুঝিয়ে দেবো, তোমরা যত যাই বলো, আমদের আফ্রিকানদেরও একটা সংস্কৃতি আছে – যা মোটেই হেলাফেলার নয়৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন