ভিয়েনায় মন্দির সহিংসতায় জড়িত ৬ জনের সাজা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০সহিংস সেই ঘটনায় গুলি বর্ষণের কারণে একজন শিখ ধর্মীয় নেতার মৃত্যু সহ প্রায় ১২ জনেরও অধিক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন৷ মে মাসের ২৪ তারিখের এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা মন্দিরাগতদের আক্রমণ করতে ফ্রাইং প্যান, মাইক্রোফোন রাখার লোহার দণ্ড, ঝালাইয়ের ছুরি আর হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছিল৷
উল্লেখ্য, ভিয়েনায় এই সহিংস ঘটনার জেরে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে সেসময় দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল৷ পাঞ্জাবের উত্তরাংশে এবং হরিয়ানায় ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় সেসময় ৩ জনের মৃত্যু সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছিলেন৷
আদালতের রায়ে প্রধান অভিযুক্ত যশপাল সিং দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন৷ জানা গেছে, মামলাটি পরিচালনা করতে আদালতকে খানিক বেগই পেতে হয়েছিল, কেননা ঘটনাটি সম্পর্কে বাদী এবং বিবাদী উভয়পক্ষেরই নাকি বেমালুম স্মৃতিভ্রংশ ঘটেছে৷ অবশ্য যশপাল সিং এর ডিএনএ পরীক্ষা করে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং অন্যান্য আলামতে তার অপরাধের প্রমাণ মিলেছে৷
যাইহোক, শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ ঘন্টার কাছাকাছি সময় ধরে চলা আদালতের রায়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে৷ এছাড়া অভিযুক্ত অপর ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের ১৭ থেকে ১৮ বছরের সাজা সহ বাকি ১ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে৷
অবশ্য যশপাল সিং এর রায়টি এখনই কার্যকর হচ্ছে না বলেই জানা গেছে, কেননা এই রায়ের বিরুদ্ধে যশপাল সিং এর আইনজীবী আপিল করতে যাচ্ছেন৷
উল্লেখ্য, শিখ এবং ডেরা সাচ খণ্ড ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শুধু ধর্মগত ব্যবধানই নয় সামাজিক ঐতিহ্যেও ভিন্নতা রয়েছে৷ দেখা গেছে, অধিকাংশ ডেরা সাচ খণ্ড মতাবলম্বীরাই সমাজের নিম্ন আয়ের ‘দলিত' শ্রেণীর সব মানুষ-জন৷ ঐতিহাসিকদের অভিমত একধরণের শোষণ আর বঞ্চনাই শিখবাদ থেকে সরিয়ে এইসব ‘দলিত'দেরকে ভিন্ন মতাবলম্বী করেছে৷
প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন