1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাস্কর্য যখন নড়াচড়া করে

ইয়ানিনা শ্নোয়র / জেডএইচ৯ নভেম্বর ২০১৩

জড় বস্তু যদি হঠাৎ সজীব হয়ে ওঠে, নড়াচড়া করে তাহলে তো ভাল লাগারই কথা, তাই না? এমনই এক মনকাড়া প্রদর্শনী সম্প্রতি হয়ে গেল বার্লিনের মেড গ্যালারিতে৷ এর পেছনের কারিগরের নাম ইওয়াখিম সাউটার৷

https://p.dw.com/p/1AEAQ
56253738 imago/Rüdiger Wölk 05.11.2011 DEU, Deutschland, München: BMW-Museum - Kinetische Skulptur bestehend aus 714 Metallkugeln an feinen Stahlseilen mit computergesteuerten Schrittmotoren, Gestaltungsbüro ART+COM
ছবি: imago/Rüdiger Wölk

তিনি ‘আর্ট প্লাস কম' নামক একটি সংস্থার চেয়ারম্যান এবং সেইসঙ্গে সেখানকার প্রধান ডিজাইনার৷ তাদের অনেক প্রদর্শনীর একটির নাম ‘সিম্ফনি সিনেটিক' বা গতির কাব্য৷

ছয় মিনিটের এই প্রদর্শনীতে সোনালি রংয়ের তিন কোণার কিছু কাঠামোকে ওজনহীন অবস্থায় শূন্যে ভাসতে দেখা গেছে৷ এছাড়া রূপালি রংয়ের অ্যালুমিনিয়ামের বাঁকানো কয়েকটি পাত দেয়ালে আলো-আঁধারির খেলায় মেতে ওঠে৷ দর্শকদের কাছে মনে হয়েছে যেন ভাস্কর্যগুলো পাপেটের মতো নড়াচড়া করছে৷

তাই তাদের কেউ বলেছেন, ‘‘আমার ভাল লাগছে৷ আলোর সঙ্গে সংগীতের খেলা আমাকে আন্দোলিত করেছে৷'' আবার কারও মন্তব্য, ‘‘তিন-চার মিনিট ধরে এই ভাস্কর্যগুলোর নাচ সত্যিই দারুণ''৷ আরেকজন বলেন, ‘‘আমার কাছে অবিশ্বাস্য লেগেছে৷ জড় বস্তুগুলো এভাবে প্রাণীর মতো নড়চড় করতে পারে! অসাধারণ৷''

ইওয়াখিম সাউটার বলেন, ‘‘প্রদর্শনীতে যা দেখানো হচ্ছে তা সবই এমন সব ইনস্টলেশনের প্রোটোটাইপ, যেগুলি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে৷ কারণ আকারে বড় হওয়ায় এগুলো সহজে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় না৷ তাই আমরা একই জায়গায় প্রোটোটাইপ-গুলি একত্র করেছি৷''

প্রদর্শনীতে ইওয়াখিম সাউটার প্রথমবারের মতো একজন কম্পোজারের সঙ্গে কাজ করেন৷ আইসল্যান্ডের উলাভুর আর্ডনাল্টস কাঠামোগুলোর গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সিম্ফনি তৈরি করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘একটি রচনা পিয়ানো, আর আরেকটি হতে পারে তারের ঝংকার৷ এককভাবেও যেমন এই সৃষ্টির আবেদন রয়েছে, তেমন একসঙ্গে হলে নাচের ছন্দে তাদের সিম্ফনি তৈরি হয়৷''

বার্লিনের প্রদর্শনীটা ছিল আর্ট প্লাস কম-এর ২৫ বছর পূর্তিতে এক ধরণের উপহারের মতো৷ ইন্টারনেট আসার পর সংস্থাটি ভার্চুয়াল জগতে অনেক কাজ করেছে৷ এখন আবার বাস্তবে ফিরে আসছে৷ সাউটার এর মতে, ‘‘আমরা যতই ভার্চুয়াল জগতে থাকি, ততই আমাদের বাস্তবে ফিরে মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়৷ যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মিউজিয়ামে যাওয়া এবং তারপর তথ্য কিংবা আনন্দের অভিজ্ঞতা নেয়া৷''

কয়েকটি কাজের জন্য পুরস্কারও জিতেছেন সাউটার৷ যেমন বিএমডাব্লিউর জন্য করা এই কাজটির কারণে ২০১০ সালে জার্মান সরকারের ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল আর্ট প্লাস কম৷

২০১২ সালে সাউটার নতুন একটা পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হন৷ সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে ১২শো তামার ফোঁটা দিয়ে একটি বিমানের মডেল নির্মাণ করেন৷

ইওয়াখিম সাউটার এবার ওয়াশিংটনে তাঁর পরবর্তী প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করছেন৷ প্রায় ৫০ জনের মতো কর্মী এই সব প্রকল্পের জন্য কাজ করছেন৷ যেমনটা করেছিলেন ২০১০ সালে শাংহাইয়ের ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো'-তে প্রদর্শিত এই ‘আয়না দেয়াল' প্রকল্পের জন্য৷