ভারত ১১ বিলিয়ন ডলারের পরিকাঠামো তহবিলের পরিকল্পনা করছে
১৪ মে ২০১০ভারতের ‘ইকনমিক টাইমস' পত্রিকা শুক্রবার খবর দেয় যে, এ'সপ্তাহে নতুন দিল্লীতে সংঘটিত একটি বৈঠকে ঐ তহবিল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ভারতের প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন৷ সিদ্ধান্তের অঙ্গ হল, ঐ ১১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৪.৪ বিলিয়ন ডলার আসবে বিদেশী অবসরভাতা তহবিল, বীমা সংস্থা এবং খোলা বাজার থেকে৷ বাকি অর্থ সংগৃহীত হবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকে৷
‘অভিনব পন্থা'
দ্বিতীয়ত, এই অর্থসংগ্রহ অভিযানের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে৷ অর্থসংগ্রহ অভিযান শুরু হবে আগামী মাসে ওয়াশিংটনে ইন্ডো-ইউএস ফোরামের বৈঠক উপলক্ষ্যে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিউ বুশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০০৫ সালে এই ফোরাম সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেন৷ ভারতের বৃহত্তম বাড়ি বন্ধকী প্রতিষ্ঠান হাউসিং ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দীপক পারেখ অর্থসংগ্রহ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন৷ পারেখ বলেছেন, পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পুঁজি সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন ‘অভিনব পন্থা' বিচার করা হবে৷
চাবিকাঠি
শুধু চীন এবং অপরাপর উত্থানশীল দেশগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণেই নয়, স্বদেশে দারিদ্র দূরীকরণের জন্যও ভারতের উন্নততর পরিকাঠামোর প্রয়োজন৷ অথচ ভারতে বন্ড'এর বাজার অপেক্ষাকৃত দুর্বল হওয়ার ফলে, এবং সেই সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং বিনিয়োজিত অর্থ হাসিল সম্পর্কে চিন্তার কারণেও ভারতে পরিকাঠামোর বিকাশে বেসরকারি বিনিয়োগ বহুদিন ধরে দ্বিধাগ্রস্ত এবং অপর্যাপ্ত৷ কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তার ঘিঞ্জি বন্দর এবং জাতীয় সড়কগুলির উন্নতিসাধনের উপর বিশেষভাবে নির্ভর৷ প্রয়োজন বিদ্যুৎ উৎপাদন, পথনির্মাণ, বন্দরনির্মাণ এবং বিমানবন্দরগুলির আধুনিকীকরণ, সব কিছুর - এবং এ'সব ক্ষেত্রেই ভারত বছরের পর বছর তার লক্ষ্যসাধনে ব্যর্থ হয়েছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন