ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকায় এখনও থমথমে উত্তেজনা
৯ জুলাই ২০১০মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা আজ সকালে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন৷ শুক্রবার জুম্মার নামাজের কথা মাথায় রেখে ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করার কথা সরকার বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া আগামী সোমবার, আলাপ-আলোচনার জন্য একটি সর্বদলিয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতারা মুসলমানদের পবিত্র স্থান হজরতবল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে৷ গত বুধবার থেকে সেনাবাহিনী ফ্ল্যাগমার্চ করলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে হস্তক্ষেপ করবেনা, যদি না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷ ইতিমধ্যে, কারফিউ চলাকালে মিডিয়ার গতিবিধির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে৷
এদিকে, কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতা সাবির আহমেদ ওয়ানিকে সহিংসতায় উস্কানি দেবার অভিযোগে আটক করা হয়৷ পুলিশের মতে, ওয়ানি টেলিফোনে গুলাম আহমেদ দারকে নির্দেশ দেন যে, বিক্ষোভ মিছিল হিংসাত্মক করে তুলতে পাথর বাহিনীর ১০-১৫ জনকে যেন মরার জন্য তৈরি রাখা হয়৷ এই টেলিফোন কথোপকথন রেকর্ড করে পুলিশ সেকথা জানতে পারে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয় যে, কিছু লোক সুপরকল্পিতভাবে হিংসা ছড়ানোর মতলব করছে৷
অন্যদিকে, শুক্রবার কংগ্রেস পার্টির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়৷ স্থির হয়, আগামী সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফরে গিয়ে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সরব হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা৷ প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কাশ্মীর পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করে ১৯৬৩-৬৪ সালের হজরতবল ধর্মীয় উত্তেজনার সঙ্গে এর তুলনা করে৷ তখনও সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়েছিল৷ লালকৃষ্ণ আডবানির নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-এর সঙ্গে দেখা করেন৷ ইঁটপাটকেল ছুঁড়ে যারা ধরা পড়েছে, তাঁদের জন্য সরকারের উদার পুনর্বাসনের প্যাকেজকে কটাক্ষ করে বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভেদকর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার পরিবর্তে এদের ঢালাও পুনর্বাসন দিলে সেটা হবে হিতে বিপরীত৷ এরা উত্সাহিত হবে এই কাজে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক