ভারতে সংসদের অচলাবস্থা অব্যাহত
২৩ নভেম্বর ২০১০সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সরকার ও বিরোধীপক্ষের সাংসদরা একে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ তুলে চেঁচামেচি শুরু করলে অধিবেশন মুলতুবি রাখতে হয়৷ বিরোধীপক্ষের দাবি টু-জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমস ও মুম্বাই-এর আবাসন কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি সংক্ষেপে জেপিসি গঠন করতে হবে৷বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভেদকার বলেন, তিনটি কেলেঙ্কারিরই তদন্ত করবে একটি জেপিসি৷এই দাবি না মেনে সরকার গণতন্ত্রের অবমাননা করছে৷ কেনএই দাবি মানতে চাইছেন না, সেবিষয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে৷
অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, কর্নাটক জমি কেলেঙ্কারি এবং খনি মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগে কর্নাটকের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ৷ এই প্রসঙ্গে সিপিএম সাংসদ বৃন্দা কারাটের প্রতিক্রিয়া - কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে না বলাটা বিজেপির দ্বিচারিতা৷ একদিকে জেপিসির দাবি তোলা অপরদিকে দলের যে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁকে আড়াল করা, আসল প্রশ্নটা সেখানেই৷ সিপিআই-এমের এই অবস্থানে অনেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধী ঐক্যে ফাটল দেখতে পাচ্ছেন৷ বিজেপির সুরে সুর মেলালে বামেদের আখেরে লোকসান৷ উল্লেখ্য, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে সরতে হবে কিনা তা আজই ঠিক হবে৷ দিল্লিতে এনিয়ে বিজেপি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, দুর্নীতির প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হলে সেটাকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাবে বিজেপি৷ নৈতিক দিক থেকে আরো চাপে রাখতে পারবে কংগ্রেসকে৷
বিরোধীপক্ষের সংসদ অচল করে রাখা নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্তী নটরাজনের প্রতিক্রিয়া হলো, দেশের সামনে বলতে হবে কেন এইভাবে সংসদ অচল করে রাখছে বিরোধীরা৷ যে ইস্যু নিয়ে বিতর্ক তা এখন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি সংক্ষেপে পিএসি দেখছেন৷ এই নিয়ে আলোচনা চলছে৷ সংসদ অচল করা তার সমাধান নয়৷
এদিকে, পূর্বতন টেলিকমমন্ত্রী এ.রাজার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি লিখে কোন সদুত্তর না পেয়ে জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে প্রধানমন্ত্রী এক হলফনামায় তাঁর বক্তব্য পেশ করেন৷ তাতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, চিঠির উত্তর দিতে বিলম্বের পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিলনা প্রধানমন্ত্রীর৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক