1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরলেন ক্যোলার

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলার তাঁর ভারত সফরকালে শুধু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেই আলোচনা করেন নি – জার্মান ভাষা শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গেও তিনি কিছুটা সময় কাটিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Lrnp
ভারতের সাফল্য ও সম্ভাবনার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন জার্মান প্রেসিডেন্টছবি: AP

নতুন দিল্লির মাক্স ম্যুলার ভবনে একদল ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করতে গিয়ে ক্যোলার জানতে চান, জার্মান ভাষায় কোন বিষয়টি তাদের সবচেয়ে বেশী ভাল লাগে৷ অনেকেরই কণ্ঠে ছিল নানা জবাব, একজন শুধু বললেন যে ‘‘সবই ভাল লাগে, তবে সবচেয়ে বেশী ভাল লাগে ব্যাকারণ৷'' জার্মান ভাষার বিষয়ে এত উৎসাহ দেখে ক্যোলার অত্যন্ত মুগ্ধ হয়ে বললেন, ‘‘এদের যখন দেখি, তখন মনে হয় এরা শুধু ভারতের ভবিষ্যৎ নয় – বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত, হয়তো বা জার্মানিরও ভবিষ্যৎ হতে পারে৷''

Indien Deutsch lernen beim Goethe-Institut in New Delhi
জার্মান ভাষার প্রতি ভারতে আগ্রহ বাড়ছেছবি: picture-alliance/ ZB

ক্যোলারের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনটি জুড়ে প্রাধান্য পেয়েছিল সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আদান-প্রদানের বিষয়টি৷ ভারতীয় বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন তিনি৷ সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন এক এক বিশ্ব ব্যবস্থায় ভারতের ভূমিকা কী হতে পারে, আলোচনায় সেই বিষয়টি উঠে এল৷ ক্যোলার এপ্রসঙ্গে বলেন, মন দিয়ে পরস্পরের বক্তব্য শুনে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে হবে৷ ভারতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনায় তিনি গভীর এক পূ্র্ণতা বোধের ছাপ পেয়েছেন, দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নতুন সদিচ্ছার লক্ষণ দেখেছেন তিনি৷ ক্যোলার বলেন, ‘‘একশো কোটিরও বেশী মানুষকে চিরকাল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জীবনযাত্রার উন্নতি থেকে বঞ্চিত রাখা যায় না৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ এমন অবস্থায় রয়েছে, যা মানবিক মর্যাদার সঙ্গে খাপ খায় না৷ আমার মতে, সেকারণেই আমাদের সবার স্বার্থে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সেদেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে৷''

ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে যেসব রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তাঁরা সবাই ভারতের দরিদ্র শ্রেণীকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে সামিল করার কথা বলেছেন, বলেন ক্যোলার৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর সবচেয়ে বেশী জোর দিয়েছেন তাঁরা৷ তবে ক্যোলারের মতে, ভারতের সামাজিক সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ভারতের একার নয় – শিল্পোন্নত বিশ্বকেও ন্যয্য এক কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে৷ ক্যোলার বলেন, ‘‘আমাদের নিজেদের কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমাতে হবে, যাতে এখানে সবাই বুঝতে পারে যে এই কাজ আমাদের জন্যও সহজ নয়৷ কারণ আমরাই, অর্থাৎ উত্তর গোলার্দ্ধের দেশগুলি উষ্ণায়নের জন্য মূলত দায়ী৷ ভারতের মত দেশের আজ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন৷ অতএব আমাদের সহযোগিতা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, প্রবৃদ্ধি যাতে নির্গমনের উপর নির্ভরশীল না হয়৷''

প্রতিবেদন: বেটিনা মার্ক্স, ভাষান্তর: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক