1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের প্রথম জিএম খাদ্য বিটি ব্রিনজাল নিয়ে বিতর্ক চলছেই

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ভারতের প্রথম জিএম খাবার বিটি ব্রিনজাল বা বিটি বেগুন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাজারে আনার উদ্যোগ আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ সম্প্রতি এই ঘোষণা দেন৷

https://p.dw.com/p/M5Wc
ভারতে জিএম খাদ্য নিয়ে বিতর্ক চলছেইছবি: ARTE France

জিএম বা জেনেটিক্যালি মোডিফাইড পণ্যের ব্যবহার ভারতে প্রথম নয়৷ তবে বিটি বেগুনই হতো ভারতীয় খাদ্যতালিকায় স্থান পাওয়া প্রথম জিএম খাদ্য৷

ভারতে উত্পাদিত তুলার কমপক্ষে ৮০ শতাংশ হলো জিএম বা বিটি তুলা৷ কিন্তু আট বছর আগে ভারতে জিএম পণ্যের আগমন ঘটলেও এখনো ভারতীয়রা তাদের খাদ্য তালিকায় জিএম খাবার যোগ করতে রাজী নয়৷

এর কারণ হিসেবে তারা বলছে জিএম খাদ্যে যে জীন ব্যবহৃত হয় তা বিষাক্ত এবং এটা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷

উল্লেখ্য, জিএম খাদ্যে এক ধরণের প্রোটিন রয়েছে যা পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে৷ এই প্রোটিনটি তৈরি হয় মাটিতে বাস করে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে৷ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া থেকে জীন নিয়ে সেটাকে ফসলে স্থানান্তর করে দেয়া হয়৷ ফলে ফসলটি নিজে নিজেই ঐ প্রোটিনটি তৈরি করতে পারে৷

ভারতে জিএম খাবার উত্পাদনের ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানি মোনসান্টো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷ কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বের বর্ধিত জনসংখ্যার খাওয়ার জোগান দিতে কৃষকদের উত্পাদন দ্বিগুন করতে হবে৷ তাই জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে৷

Labor des US Saatgutherstellers Monsanto in Frankreich
মোনসান্টোর একটি গবেষণাগারছবি: picture-alliance/ dpa

তবে মোনসান্টোর এই মতের বিরোধী লোক রয়েছে অনেক, যেমন গ্রীনপিস ইন্ডিয়ার রঙ্গনাথান৷ তিনি বলছেন, জিএম প্রযুক্তি যে উত্পাদন বাড়ায় তা ঠিক নয়৷ তাই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের জনগণের জন্য খাবার জোগাড়ের যে স্বপ্ন মোনসান্টো দেখছে তা সম্ভব নয়৷ তিনি বলছেন, জৈব ও প্রাকৃতিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই উত্পাদন বাড়ানো সম্ভব৷

জমিতে অধিক পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার ও জমির উর্বরতা কমে যাওয়ায় ভারতে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ জিএম প্রযুক্তি এই বিষয়টিকে গুরুত্বই দিচ্ছেনা৷

এছাড়া সমালোচকরা বলছেন, জিএম ফসলের জন্য দামি বীজ আর প্রযুক্তি কিনতে গিয়ে কৃষকরা আরো ঋণী হয়ে পড়েছে৷ তবে মোনসান্টো ইন্ডিয়ার পরিচালক জ্ঞানেন্দ্র শুকলা বলছেন, দেশব্যাপী প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করছে৷ যদি এটি লাভজনক না ই হবে তবে এতো কৃষক এটা ব্যবহার করছেন কেন, বলছেন শুকলা৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আবদুস সাত্তার