বয়সের সীমা বাতিল
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪খেলাধুলার জগতে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখাতে আর ক'জন পারেন! তাই যা করার তা দ্রুত করার জন্য চাপ থাকে৷ কিন্তু কর্মকর্তাদের বয়স নিয়ে কী এসে যায়? তাঁরা সুস্থ, সবল থাকলেই তো হলো৷ সল্ট লেক সিটি অলিম্পিক গেমস-এর সময় ঘুস কেলেঙ্কারির জের ধরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্মকর্তাদের বয়সের সীমাও স্থির করে দিয়েছিলো৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী যে সব কর্মকর্তা ১৯৯৯ সালের পর আইওসি-তে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের ৭০ বছর বয়স হলেই পদত্যাগ করতে হবে৷ যাঁরা তার আগে থেকেই রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা ৮০৷
বলা বাহুল্য, বিষয়টি বয়স্ক কর্মকর্তাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর৷ শুধু বয়সের কারণে তাঁরা সহজে অবসর নিতে প্রস্তুত নন৷ যেমন ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটার৷ তাঁর বয়স ৭৭৷ তিনি আইওসি-র বিধানের বিরোধিতা করে বলেছেন, বিষয়টি সংগঠনের সদস্যদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত৷ কোনো কর্মকর্তা যদি ঠিকমতো কাজ করতে না পারেন, ভোটের মাধ্যমেই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত৷ অথবা বয়সের কারণে দুশ্চিন্তা থাকলে তাঁকে নির্বাচিত করারই প্রয়োজন নেই৷ ফিফা-র নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়ার অর্থ বৈষম্য করা৷ তাই আইওসি-রও উচিত, এমন নিয়ম বাতিল করা৷ আইওসি-র বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ব্লাটার-কে তিন বছরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে৷ নতুন করে প্রার্থী হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না৷
আইওসি-র বয়স সংক্রান্ত নিয়ম এখনো চূড়ান্ত রূপ পায় নি৷ অনেকে বয়সের সীমা ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ করার পক্ষে সওয়াল করছেন৷ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বিষয়টি নতুন করে খতিয়ে দেখা হবে৷ অর্থাৎ ২০১৫ সালে পঞ্চম বারের মতো ফিফা-র শীর্ষ পদে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন এখনই ত্যাগ করার প্রয়োজন নেই ব্লাটার-এর৷
এসবি / এআই (এপি, রয়টার্স)