1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগার হোসেন সাময়িক জামিনে মুক্ত

১০ ডিসেম্বর ২০১০

‘শত্রু দেশগুলোর’ সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে ২৬ মাস আগে এক ব্লগারকে জেলে পুরেছিল ইরান সরকার৷ বুধবার সেই ব্লগার, হোসেন ডেরাকসানকে সাময়িক জামিনে মুক্তি দিয়েছে ইরান৷ এজন্য হোসেনের পরিবারকে গুণতে হয়েছে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার৷

https://p.dw.com/p/QUnG
ইরানের ব্লগার হোসেন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

হোসেনের সাময়িক মুক্তির বিষয়টি ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর পরিবারের কাছের এক সূত্র৷ আইনী শর্ত অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই আবারো কারাগারে ফিরে যেতে হতে পারে এই ৩৫ বছর বয়সি ব্লগারকে৷

ইরানে ফার্সি ভাষায় ব্লগিংয়ের শুরুটা হোসেনের হাত দিয়েই হয়েছিল৷ ২০০১ সালে ইরানি বংশোদ্ভুত ক্যানাডিয়ান এই ব্লগার ফার্সি ভাষায় ব্লগ চালুর বিভিন্ন উপায় ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন৷ এরপর ইংরেজি এবং ফার্সি ভাষায় তাঁর ব্লগ বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়৷ ২০০৬ সালে ক্যানাডিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ইসরায়েল ঘুরে আসেন তিনি৷ এছাড়া দু'বার ডয়চে ভেলে সেরা ব্লগ প্রতিযোগিতার জুরি মনোনীত হন হোসেন ডেরাকসান৷

হোসেনের এই মুক্ত ব্লগিং পছন্দ হয়নি ইরান সরকারের৷ ২০০৮ সালের নভেম্বরে ইরানে আটক করা হয় তাঁকে৷ অভিযোগ শত্রু দেশগুলোর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে তাঁর৷ এছাড়া তিনি নাকি ইন্টারনেটে ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন৷ ইরানের ভেতরকার রাজনৈতিক আন্দোলনে সমর্থন দেবার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ যদিও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন কঠোর নীতির সমালোচনা করেও অনেক লিখেছেন হোসেন৷ কিন্তু সেগুলো বোধহয় তাঁর প্রতি ইরান সরকারের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পারেনি৷

এতসব অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে ইরানের আদালত হোসেনকে সাড়ে উনিশ বছরের কারাদণ্ড দেয়৷ এছাড়া পাঁচ বছর মিডিয়া সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে৷ বলাবাহুল্য এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেন হোসেনের আইনজীবী৷ আপিল আদালত এখনো বিষয়টি নিষ্পত্তি করেনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম