1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে মার্কিন কায়দার টেলিভিশন বিতর্ক

৩০ এপ্রিল ২০১০

লেবার, কনজারভেটিভ এবং লিব’ডেম বা লিবারাল ডেমোক্র্যাট, তিন দলের তিন প্রধানের মধ্যে নির্বাচনের সাত দিন বাকি থাকতে শেষ বিতর্ক৷ যা লেবার প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনকে বাঁচাতে পারেনি৷

https://p.dw.com/p/NAXN
ফাইল ফটোছবি: AP

এক কথায় বলতে গেলে, এই চূড়ান্ত টেলিভিশন বিতর্কের পর পরই যে পাঁচটি জনমত সমীক্ষা করা হয়েছে, তা'তে কনজারভেটিভদের প্রধান ডেভিড ক্যামেরন পেয়েছেন গড়ে ৩৭ শতাংশ সমর্থন, লিবারাল ডেমোক্র্যাট নেতা নিক ক্রেগ পেয়েছেন ৩২ শতাংশ সমর্থন এবং ব্রাউন পেয়েছেন ২৫.৬ শতাংশ৷

অথচ এই তৃতীয় টেলিভিশন বিতর্কটির বিষয় ছিল অর্থনীতি, যা'তে নাকি ব্রাউনের ভালো ফল করার কথা, কেননা তিনি এককালে টোনি ব্লেয়ারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন৷ কিন্তু বাদ সাধল বুধবারের একটি ঘটনা: কোটের ল্যাপেলে লাগানো মাইক্রোফোনটি ভুলে গিয়ে ব্রাউন লেবারেরই সমর্থক এক বর্ষীয়সী মহিলাকে ‘বাইগটেড' অর্থাৎ ‘গোঁড়ামিতে অন্ধ' বলে অভিহিত করেন, এবং কেন ঐ মহিলাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে তাঁর সহকারীদের উপর হম্বিতম্বিও করেন৷ ভোটের দিন সাতেক আগে এ'ধরণের ভ্রান্তি আধুনিক যুগের মিডিয়া ক্ষমা করে না, ভোটারদের কথা পরে৷

কাজেই ব্রাউন বৃহস্পতিবারের টেলিভিশন বিতর্কে ও'দিকে যাবারই চেষ্টা করেননি৷ শুধু বলেছেন: ভুল তাঁরও হয়৷ কিন্তু তিনি অন্তত অর্থনীতিটা চালাতে জানেন৷ এবং ব্যাংকগুলো যখন ধসে যাওয়ার মুখে, তখন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তিনিই দেশকে মন্দার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন৷ এ' সবই সত্য, সেটাই হল দুঃখজনক৷ - অপরদিকে ক্যামেরন-ক্রেগের অনভিজ্ঞতার উপর জোর দিয়ে ব্রাউন বিশেষ বুদ্ধির কাজ করেননি, কেননা পরিবর্তে ১৩ বছর সরকারি ঘানি টানাটা ভোটারদের কাছে খুব আকর্ষণীয় না'ও মনে হতে পারে৷ যার উল্টোটা আবার তরতাজা তারুণ্য বলে প্রতীয়মান হতে পারে৷

মজার কথা, লিবডেম'দের নিক ক্রেগ কিন্তু একটি বিতর্ক থেকে আরেকটিতেই তাঁর তরতাজা নতুনত্বের কিছুটা হারিয়ে বসে আছেন - ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকা যাকে বলেছে, ক্রেগ আর ‘পাড়ায় নতুন ছেলে' নন৷ গার্ডিয়ান পত্রিকাও এবার প্রধানত ডেভিড ক্যামেরনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ: তিনি নাকি আশাবাদী, আস্থা সৃষ্টিকারী এবং স্থির৷ এবং তর্কযুদ্ধে সিদ্ধহস্ত: ক্যামেরন লেবারের অর্থনীতি এবং অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিকে বলেছেন ‘‘ক্লান্ত'' এবং ‘‘উদভ্রান্ত'', কিন্তু বিশেষণগুলি ক্ষেত্রবিশেষে ব্রাউনের প্রতি কটাক্ষ বলেও ধরা যেতে পারে৷ অপরদিকে ক্যামেরন প্রায় ওবামার কায়দায় ‘‘চেঞ্জ'', মানে পরিবর্তনের আবেদন করেছেন৷

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, আগামী বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে একটি ‘হাং পার্লামেন্টের' সম্ভাবনাই সর্বাধিক, তবে কনজারভেটিভদের একক জয়ও ঠিক অকল্পনীয় নয়৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম