ব্রিটেনের প্রথম ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’ ডেরি
২৯ জানুয়ারি ২০১৫অভিনেত্রী ও গায়িকা ব্রোনাঘ গ্যালেগার এই শহরে বেড়ে উঠেছেন৷ ৮৫ হাজার অধিবাসীর এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে বলে তিনিও অনুভব করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের অনেকগুলো নামকরা মিউজিক ভেন্যু আছে, আছে অনেক সুন্দর ক্যাফে আর রেস্টুরেন্ট৷ এছাড়া ফয়েল নদীর পাশ দিয়ে আছে সুন্দর হাঁটা পথ৷ নদীর উপর ‘শান্তি সেতু' নির্মাণ করায় বিভক্ত শহর এখন সংযুক্ত৷''
উপর থেকে লন্ডনডেরি শহরের দৃশ্য দেখার সবচেয়ে ভালো স্থান ঐতিহাসিক সীমানা প্রাচীর, যেটা ৯ মিটার প্রশস্ত এবং ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে ভালোভাবে সংরক্ষিত৷ এর উপর দিয়ে হেঁটে শহরের পুরনো অংশ পর্যন্ত যাওয়া যায়৷ ব্রোনাঘ গ্যালেগার বলেন, ‘‘প্রাচীরের উপর দিয়ে হাঁটার অনেক জায়গা আছে৷ এভাবে পুরো শহরটা দেখা যায়৷ এ জন্য কতগুলো বেশ ভাল গাইড টুরের ব্যবস্থা আছে৷''
লন্ডনডেরি শহরের ঘটনাবহুল ইতিহাস জানতে যেতে হবে টাওয়ার মিউজিয়ামে৷ ঐতিহাসিক ঘটনার তথ্য ও ছবি সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে সংরক্ষণের জন্য এই মিউজিয়াম অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে৷
মিউজিয়ামের ঠিক বিপরীত দিকে আছে নব্য-গথিক ধারার টাউন হল৷ পুরো আয়ারল্যান্ড দ্বীপের মধ্যে সেখানেই সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছ রংমিশ্রিত কাঁচ রয়েছে৷
ডেরি শহর সম্পর্কে ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী' কর্মসূচির মুখপাত্র পিটার হুটচেয়নের মন্তব্য, ‘‘যাঁরা এখানে আসেন কিংবা যাঁরা এখানে গত ২০ বছরে আসেননি, তাঁরা শহরের পরিবর্তন দেখে চমকে যাবেন৷ আমার মনে হয়, তাঁরা যদি আসেন তাহলে সময় নিয়ে ঘুরে দেখতে চাইবেন, মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইবেন, শহরের পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁদের কী মনোভাব৷ এভাবে তাঁরা শহরের ইতিবাচক পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন৷''
লন্ডনডেরির অধিবাসীরা সামনে এগিয়ে যেতে চায়৷ তাঁরা যদি শহরটাকে আনন্দের শহরে পরিণত করতে পারে, তার মানে এটাই হবে যে, তাঁরা ঠিক পথেই এগোচ্ছে৷