ব্রাগাকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন পোর্টো
১৯ মে ২০১১আভিভা স্টেডিয়ামে অল-পর্তুগিজ ফাইনালে ফ্রেডি গুয়ারিনের বলকে হেড করে একমাত্র বিজয়সূচক গোলটি করলেন ২৫ বছর বয়সি ফালকাও৷ ৪৪ মিনিটের এই গোলের ফলে ইউরোপা আসরে কলম্বিয়ান এই তারকা ফুটবলারের গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৷ ফলে ইউইএফএ কাপের ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানের সৃষ্ট ১৫ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেন ফালকাও৷
স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ফালকাও৷ বললেন, ‘‘এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছিলাম৷ সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হলো৷ আমার গোল রেকর্ডের জন্য আমি খুশি৷ তবে আজকের দিনে সেটি বড় বিষয় নয়, বরং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের শিরোপা জয়৷ আমাদের এই সফলতার পেছনে মূলমন্ত্র দলবদ্ধ উদ্যম৷'' এর আগেও ১৯৮৭ এবং ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপীয় কাপ জয় করে পোর্টো৷ এছাড়া ২০০৩ সালে ইউইএফএ কাপও ঘরে তোলে তারা৷
মজার বিষয় হলো ইউইএফএ ক্লাব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পোর্টো'র কোচ আঁন্দ্রে ভিলাস-বোয়াসই হলেন সবচেয়ে কমবয়সি কোচ৷ বর্তমান বয়স মাত্র ৩৩ বছর৷ নিজের দলের জয়ে খুশি হলেও বুধবারের ফাইনাল ম্যাচে দুই দলের লড়াই দেখে খুশি হতে পারেননি বোয়াস৷ বললেন, ‘‘এটা খুব হতাশাব্যঞ্জক যে খেলাটা দৃষ্টি নন্দিত ছিল না৷ অবশ্য ইউরোপীয় ফাইনালের এটাই বাস্তবতা৷ এমনকি আজকের খেলাটা পর্তুগিজ মানের পর্যায়েও ওঠেনি৷'' তবুও ফালকাও'এর চমৎকার হেড করার নান্দনিকতায় মুগ্ধ বোয়াস৷ ফালকাও এর হেড'কে রীতিমতো ‘অবিশ্বাস্য' বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ আর নিজের হেডের কারিশমা সম্পর্কে ফালকাও এর মন্তব্য, ‘‘আমার বাবা এটা আমাকে শিখিয়েছেন৷ তিনি খুব ভালো ডিফেন্ডার ছিলেন এবং আমাকে শেখান কীভাবে বাতাসের মাঝে উপরে উড়ে যেতে হয়৷''
ইতিমধ্যে ঘরোয়া লিগে সবগুলো খেলায় অপরাজিত সেরা হয়ে রেকর্ড গড়েছে তারা৷ এখন আগামী রবিবারের পর্তুগিজ কাপ ফাইনালে গুইমারেজকে হারাতে পারলেই টানা তিনটি শিরোপা জয়ের রেকর্ড হবে পোর্টোর৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম