ব্যায় সংকোচন নীতির প্রতিবাদে গ্রিসে ধর্মঘট, তুমুল বিক্ষোভ
২১ মে ২০১০সরকারের ব্যায় সংকোচন নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গ্রিসে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হল৷ রাজধানী এথেন্সে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল প্রায় ২০ হাজার মানুষ৷ বিশাল মিছিলটি সংসদ ভবন পর্যন্ত যায়৷ তবে পুলিশ সেখানে তাদের বাধা দেয়৷ বিক্ষোভ প্রতিবাদে এথেন্স ছিল উত্তাল৷
এথেন্সে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কঠোর ছিল৷ পুলিশের ১৭'শ অতিরিক্ত সদস্য নামানো হয় রাজধানীতে৷ আসলে এর আগের ধর্মঘটগুলোতে যে ধরনের সমস্যা হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে আগে থেকেই অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়৷ চলতি বছর এই নিয়ে গ্রিসে চতুর্থবার সফল ধর্মঘট পালিত হলো৷ দুই সপ্তাহ আগের এক বিক্ষোভে তিন জন প্রাণ হারান৷ গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্মঘট চলাকালে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ স্কুল, হাসপাতাল, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক-এর মত সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রগুলো বন্ধ ছিল৷ শিপিং ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট যোগাযোগও ব্যাহত হয়৷ সংঘর্ষ হতে পারে এই ধরনের জায়গাগুলোতে সারিবদ্ধ ভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার৷
দেশটিতে সরকারের ব্যায় সংকোচন নীতির প্রতিক্রিয়া সরকার বিরোধী জনমত তো বাড়ছেই৷ এদিকে সরকারের ব্যায় সংকোচ কার্যক্রমের ওপরই নির্ভর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পরবর্তী অর্থ সহায়তার বিষয়টি৷ আর সরকারের ব্যায় সংকোচ নীতির লক্ষ্য বাজেট ঘাটতি হ্রাস করা৷ তবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাটা, পেনশন কাটা বা বিতর্কিত পেনশন সংস্কার নজিরবিহিন ঘটনা৷ আর এই ব্যাপারগুলোর প্রতিবাদেই গত ফেব্রুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত চারটি ধর্মঘট পালিত হলো গ্রিসে৷ হাজার হাজার মানুষ নেমে আসলেন রাস্তায়৷
এদিকে ইউরোকে স্থিতিশীল করতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের উদ্যোগ কিন্তু কমেনি৷ জি টোয়েন্টি বৈঠকের আগেই ম্যার্কেল বাণিজ্য বাজারে কর চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছেন৷ বৃহস্পতিবার বার্লিনে, এক সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর তাঁর এই নতুন উদ্যোগের কথা ব্যক্ত করে আবারও ইউরোর ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার সময় বলেছেন, বিশ্বের অর্থনীতির প্রাথমিক সমস্যা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে বাণিজ্যবাজারের ওপর কর চাপাতে হবে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়