1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুকুশিমা প্রসঙ্গ

১১ অক্টোবর ২০১৩

জাপানের ক্ষতিগ্রস্ত পরমাণু চুল্লি ফুকুশিমার বাইরে সাগরের পানিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে গেছে, গত দুই বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ৷ শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই এটা বেড়ে চলেছে৷ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে টেপকো৷

https://p.dw.com/p/19xZK
Japan's Economy, Trade and Industry Minister Toshimitsu Motegi (L), wearing a protective suit and a mask, inspects contaminated water tanks at the tsunami-crippled Tokyo Electric Power Co's (TEPCO) Fukushima Daiichi nuclear power plant in Fukushima prefecture August 26, 2013, in this photo taken and released by TEPCO. Tokyo Electric Power Co , the operator of the stricken Fukushima nuclear plant, said it would invite foreign decommissioning experts to advise it on how to deal with highly radioactive water leaking from the site, and Japan signalled it may dip into a $3.6 billion emergency reserve fund to help pay for the clean-up. REUTERS/Tokyo Electric Power Co/Handout via Reuters (JAPAN - Tags: POLITICS DISASTER BUSINESS) ATTENTION EDITORS - THIS IMAGE WAS PROVIDED BY A THIRD PARTY. MANDATORY CREDIT. FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. NO SALES. NO ARCHIVES. THIS PICTURE IS DISTRIBUTED EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS
ছবি: Reuters/Tokyo Electric Power Co

বুধবারে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাপ নেয়া হলে দেখা যায় মঙ্গলবারের চেয়ে তা ১৩ গুণ বেড়ে গেছে, ২০১১ সালের পর যা সবচেয়ে বেশি৷ ২০১১ সালের মার্চে ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পারমাণবিক চুল্লিটি৷ ঐ দুর্যোগে তিনটি পারমাণবিক চুল্লিতে হাইড্রোজেন বিস্ফোরণ হয় এবং ভেতরে পানি ঢুকে যায়৷ এটির তত্ত্বাবধানে আছে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি টেপকো৷

চুল্লিটি ঠান্ডা রাখতে শত শত টন পানির প্রয়োজন৷ বুধবার ভুলবশতঃ এক শ্রমিক চুল্লির একটি পাইপ বিচ্ছিন্ন করে ফেললে ৭ টন তেজস্ক্রিয় পানি চুল্লি থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়ে৷ টোকিও থেকে ২২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ফুকুশিমা দাইচি চুল্লিতে এই দুর্ঘটনায় টেপকোর কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ বলা হচ্ছে, ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তা দূর করতে টেপকোর কয়েক দশক লেগে যেতে পারে৷

টেপকো বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত দুই নম্বর চুল্লির বাইরে পানিতে বুধবার সিজিয়াম-১৩৪ এবং সিজিয়াম-১৩৭-এর যে রিডিং নেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতি লিটারে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ ১,২০০ বেকারেল, যা মঙ্গলবারের চেয়ে ১৩ গুন বেশি৷

Japan Unfall Atomkraftwerk Fukushima Meereswasser Verseuchung
ফুকুশিমা থেকে ৪৩০ লিটার তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে গিয়ে মিশেছেছবি: picture-alliance/dpa

রিডিং অনুযায়ী, প্রতি লিটারে সিজিয়াম-১৩৪-র তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ৩৭০ বেকারেল, যেখানে সিজিয়াম-১৩৭ এর পরিমাণ লিটারে ৮৩০ বেকারেল৷ চুল্লির বাইরের পানিতে সিজিয়াম থেকে ক্ষতিকারক গামা রশ্মির নিঃসরণ হয়, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর৷ তবে এর মাত্রা রয়েছে৷ প্রতি লিটারে সিজিয়াম-১৩৭ এর মাত্রা ৯০ বেকেরেল এবং সিজিয়াম-১৩৪ এর মাত্রা ৬০ বেকারেল হলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর৷

টোপকোর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, দুই নম্বর ভবনের নির্মাণ কাজের ত্রুটির জন্য পানিতে তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে গেছে৷ ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লির ভবনের যে অংশটি সমুদ্র সংলগ্ন সেখানকার ভূমি শক্ত করতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করছে শ্রমিকরা, যাতে পানিতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে না পারে এবং সাগরে গিয়ে না মেশে৷

টেপকো বলছে, ফুকুশিমার একদম কাছে যে পানি রয়েছে, সেখান থেকে এই রিডিংগুলো নেয়া হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে যা কয়েকশ মিটার দূরে৷ চুল্লির আশপাশ থেকে এই তেজস্ক্রিয়তা যাতে মূল সমুদ্রে গিয়ে না মিশে তার চেষ্টা করছেন বলে জানালেন কর্মকর্তারা৷

গত সপ্তাহে অবশ্য টেপকো জানিয়েছিল, ফুকুশিমা থেকে ৪৩০ লিটার তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে৷

তবে প্রশান্ত মহাসাগরের পানি এখনো পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, সেখানে সিজিয়ামের অস্তিত্ব আছে কিনা৷ কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, সমুদ্রে গিয়ে তেজস্ক্রিয় পানির ঘনত্ব কমে যাওয়ায় তা পরিবেশ বা অন্য দেশের জন্য ক্ষতিকারক হবে না৷

তেজস্ক্রিয় পদার্থ অপসারণে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ এবং এর পদক্ষেপ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে টেপকোকে নির্দেশ দিয়েছে জাপানের নিউক্লিয়ার রেগুলেশন কর্তৃপক্ষ৷

এপিবি/এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য