বেহরামির বিদায় ডোবালো সুইসদের
২২ জুন ২০১০কখন কীভাবে গোল এল
মার্ক গঞ্জালেসের ৭৫ মিনিটের গোলেই চিলির জয়৷ বদলি খেলোয়াড় যে বেশ কাজের হতে পারে তার প্রমাণ দিলেন প্যারিডিস এবং গঞ্জালেস৷ কারণ প্যারিডিসের তৈরি করা বলে একটু মাথার ছোঁয়া দিয়েই গঞ্জালেসের সাফল্য৷ আর তাতেই এখন গ্রুপ এইচ এর শীর্ষ পর্যায়ে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি৷ গঞ্জালেসের গোলেই ভেঙেছে সুইসদের একটি বড় রেকর্ড৷ কোন গোল ছাড়াই বিশ্বকাপে ৫৫৮ মিনিট খেলার রেকর্ড গড়েছে এই সুইসরা৷ তবে সোমবারের হারের জন্য সৌদি রেফারি খলিল আল ঘামদিকে এক হাত নিলেন সুইস ডিফেন্ডার স্টেফানে গ্রিসটিং৷
ম্যাচে প্রচুর লাল হলুদ কার্ড
যদিও প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ফুটবলারদের ঘাত-প্রতিঘাতের দৃশ্যে ভক্তরা বেশ মর্মাহত৷ তবে চিলি-সুইস ম্যাচে বন্যা বয়ে গেল হলুদ কার্ডের৷ সাথে একখান লাল কার্ডও জুটেছে৷ তাই রেফারির বিরুদ্ধে গ্রিসটিং-এর ক্ষোভ, ‘‘তিনি একটি, দু'টি কিংবা তিনটি ভুল নয়, বরং গোটা ম্যাচটাকেই ভুলে পরিণত করেছেন৷ আর লাল কার্ড দেওয়ার মতো কিছুই ছিল না৷ এমনকি ঐ অপরাধের জন্য একটা হলুদ কার্ডও বেশি হয়ে যায়৷ তাই বিশ্বকাপের মতো ম্যাচে এই লাল কার্ড দেওয়াটা সম্পূর্ণ বোকামি হয়েছে,'' বললেন গ্রিশটিঙ৷
কী বলছেন বেহরামি
বেহরামির আক্ষেপ, ‘‘বিশ্বকাপ ছিল আমার কাছে একটি স্বপ্ন৷ কিন্তু লাল কার্ড আমাকে হতাশ করল৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র বলটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম৷ কিন্তু ভিডাল খুব বড় অভিনেতা৷'' সুর মিলিয়েছেন কোচ ওটমার হিটজসফিল্ডও৷ বললেন, ‘‘ভিডাল নাটকীয়ভাবে পড়েছে, আর এটা শুধুই অভিনয় ছিল৷'' হিটজসফিল্ডের কথায়, ‘‘এটা লাল কার্ড তো নয়, একটা হলুদ কার্ড দেওয়ার মতোও কিছু ছিল না৷ আর্তুরো ভিডাল মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে লাল কার্ডের দাবি তুলে খুব অন্যায় করেছে৷'' জার্মান কোচ হিটজসফিল্ড স্বীকার করলেন, রেফারির এই সিদ্ধান্ত তাঁর দলের ডিফেন্সকে ভেঙে দিয়েছে৷ তবে আল ঘামদির বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ক্ষোভ নয়৷ এর আগে মেক্সিকোর কাছে ২-০ গোলে ফ্রান্সের পরাজয়ের ক্ষেত্রেও দোষ চেপেছে ওই রেফারি আল ঘামদির বিরুদ্ধে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়