1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

২০ আগস্ট ২০১০

বেসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি’র সম্মতি আদায় করার পরও, শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসে বিজেপি৷ আপত্তি - বাড়তি শব্দ যোগ করা নিয়ে৷ অবশ্য শেষমেষ সরকার তা মেনে নিলে, শুক্রবার মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়৷

https://p.dw.com/p/Osk9

শব্দটি কী ছিল যা নিয়ে বিজেপির আপত্তি? শব্দবন্ধটি ছিল ইংরেজি ‘অ্যান্ড' মানে ‘এবং'৷ আপাত নিরীহ হলেও এই ক্ষেত্রে শব্দটির ব্যঞ্জনা ব্যাপক৷ বিলের ১৭ক ধারা আর আর ১৭খ ধারার মধ্যে, ‘এবং' শব্দটি সরকার পরে জুড়ে দেওয়ার ফলে তার অর্থ দাঁড়িয়েছে নাকি অন্যরকম৷ কাজেই বিজেপি'র দাবি, সম্মত রিপোর্টে যে ভাষা ছিল, সেটাই রাখতে হবে৷ সরকার তা মেনে ‘অ্যান্ড' শব্দটি বাদ দেবার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়৷ ফলে বিজেপি'র সমর্থনে সংসদের শীলমোহর পেতে আর কোন বাধা রইলনা৷ কাজেই, নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের আগে বিলটি পাশ করানো নিয়ে আর চিন্তা রইল না প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর৷ আজকালের মধ্যেই বিলটি সংসদে পেশ করা হবে৷

উল্লেখ্য, বিজেপি'র সুপারিশ ছিল, দুর্ঘটনার দায় পরমাণু সাজসরঞ্জাম সরবরাহকারিকেও সমানভাবে নিতে হবে৷ ১৭-এর (ক ও খ) উপধারার মধ্যে ‘অ্যান্ড' শব্দ জুড়ে দেওয়ার অর্থ দাঁড়ায়, সরকার ও সরঞ্জাম সরবরাহকারির মধ্যে এজন্য থাকবে পৃথক লিখিত চুক্তির সংস্থান৷ সেখানে সরকার ইচ্ছা করলে সরবরাহকারিকে ছাড় দিতে পারে৷ উল্লেখ্য, বিলের অন্যান্য সংশোধনগুলি সরকারআগেই মেনে নেয়৷ যেমন শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাই পরমাণু কেন্দ্র স্থাপন করবে৷ অপারেটরদের ন্যুনতম দায় ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫০০ কোটি টাকা৷ প্রয়োজনে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আরো বাড়ানো যেতে পারে৷ দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের আদালতে গিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে না৷ এজন্য নিয়োগ করা হবে বিশেষ কমিশনার৷

বিজেপি'র সমর্থন পাবার পর আরজেডি, এসপি ও বিএসপি'র মত দলের সঙ্গে দর কষাকষির আর দরকার হলো না৷ উপরন্তু বাম ও বিজেপি'র বিভাজন ঘটাতেও সমর্থ হলো সরকার৷ বিজেপি'র পাশাপাশি অনুরুপ আপত্তি তুলেছিল বামেরা, যার অনেকগুলিই মেনে নিয়েছে সরকার৷ কিন্তু ক্ষতিপূরণের সীমা বেঁধে দেয়া নিয়ে মতান্তর রয়ে গেছে বামেদের সঙ্গে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ