1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালিকদের আন্তরিকতা নেই!

আঙ্কে রাসপার/এসিবি১৩ মার্চ ২০১৬

পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছেন গিজেলা বুর্কহার্ট৷ বিশেষ অবদানের জন্য জার্মানিতে পেয়েছেন আনা ক্লাইন পুরস্কার৷ এ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পোশাকশিল্প নিয়ে অনেক কথা বলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1IAG1
Näherin Textilverarbeiterin Bangladesch billige Kleidung
ছবি: Reuters

ডয়চে ভেলে: আপনি তো ৩০ বছর ধরে উন্নয়ন খাতে কাজ করছেন৷ দক্ষিণ এশিয়ার পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অবস্থা কেমন?

গিজেলা বুর্কহার্ট: উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে আমি ২০ বছর কাজ করেছি৷ ইথিওপিয়া থেকে ফেরার পর মনে হলো, আমাদের নিজেদের মাঝেই পরিবর্তন দরকার৷ মনে হলো, ওই গরিব দেশগুলোতে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ভালো করার জন্য আমাদের এই জার্মানিতেই কিছু করতে হবে৷ উন্নয়ন সহযোগিতা তো ছোট একটা অংশ, ওইটুকু করে সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল জায়গায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে৷

Gisela Burckhardt von der Organisation FEMNET
গিজেলা বুর্কহার্টছবি: FEMNET

তাই গরিব দেশগুলোতে পোশাক শ্রমিকদের অবস্থার উন্নয়নের সুযোগ বাড়াতে সেসব দেশের কারখানাগুলো নিয়ে কাজ করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ এ কারণেই আমি জার্মানিতে ‘স্বচ্ছ কাপড়' প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি৷ আমার মনে হয়েছে, ক্রয়নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ বাড়ানো দরকার৷ এই চাপের ফল উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের মজুরি ও জীবনযাপনে অনেক বেশি ইতিবাচক হবে৷

প্রায় ১৫ বছর আগে আপনি ‘ফেমনেট' প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ এই সময়ে পোশাক শিল্পে কী কী পরিবর্তন দেখেছেন? আপনার কি মনে হয় এ সময়ে আপনি অবস্থার উন্নতিতে ভালো ভূমিকা রাখতে পেরেছেন?

কিছু সাফল্য পেয়েছি৷ তবে যতটা আশা ছিল ততটা পারিনি৷ বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর সারা বিশ্বেই বড় রকমের আলোড়ন তৈরি হয়েছিল৷ পরিবর্তন দাবি করার জন্য আমরা সে সুযোগটা নিয়েছিলাম৷ এবং এর ফলে সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটা এসেছে তা হলো শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানা ভবন সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন৷

আগুন লাগলে বের হবার পথ হয়েছে, অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা হয়েছে – এ সবের কথা বলছেন?

হ্যাঁ, ঠিক তাই৷ কিন্তু এ সবের ফলে কাজের পরিবেশ ভালো হয়ে যায়নি৷ এখনো শ্রমিকরা যথেষ্ট মজুরি পাচ্ছে না৷ বাংলাদেশে কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৫০ ইউরোর মতো৷ ৫০ ইউরোতে বাংলাদেশেও ভালোভাবে জীবনযাপন করা অসম্ভব৷ বাংলাদেশ আর ভারতের মতো দেশে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণও খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়৷ এসব জায়গায় এখনো যথেষ্ট কাজ করা হয়নি৷

রানা প্লাজা ধসের পর শিল্প কারখানাগুলো কি খুব একটা বদলেছে?

আমি মনে করি সচেতনতার জায়গাতে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে৷ এখন আপনি এমন কোনো বড় পোশাক কারখানা খুঁজে পাবেন না যেখানে সিএসআর, অর্থাৎ কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি পলিসি নেই৷ বেশির ভাগ বড় পোশাক কারখানাই জানে, এক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে৷ তারা অবশ্য এখনো কথাই বলে বেশি৷ কিছু কিছু পোশাক কারখানা অবশ্য সত্যি সত্যিই কিছু পরিবর্তন আনতে চায়৷ তবে বেশির ভাগই এ বিষয়ে আন্তরিক নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান