1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বেতন বাড়ার সঙ্গে দুর্নীতি কমার কোনো সম্পর্ক নেই'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে প্রায় দুই গুণ৷ নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮,০০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৮,২৫০ টাকা৷ আগে ছিল ৪০,০০০ ও ৪,১০০ টাকা৷ বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী কথায়, ‘‘বেতন বাড়ানোয় দুর্নীতি কমবে৷''

https://p.dw.com/p/1GTaj
Symbolbild Korruption Bestechung
ছবি: Colourbox/Hin255

নতুন এই বেতন কাঠামো আগামী জুলাই মাস থেকে কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘‘বেতন কম – এই কারণ দেখিয়ে আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করতো৷ তাঁরা এখন আর এ কথা বলতে পারবেন না৷ তবে এরপরও দুর্নীতি হতে পারে৷ কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, যারা বরাবরই দুর্নীতি করে যাবেন৷''

বিশ্লেষকরাও তাই মনে করেন৷ তাঁদের মতে, বেতন বাড়ানোর সঙ্গে দুর্নীতি কমার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই৷ টিআইবি-র ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দুর্নীতি নানা কারণে হয়ে থাকে৷ সরকার, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থা যদি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে, তাহলে দুর্নীতি কমার কথা নয়৷''

তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতা বা শক্তির একটি সম্পর্ক থাকে৷ তাই কম বেতন থাকলে যে কেউ দুর্নীতিবাজ হয়, এটা প্রমাণিত নয়৷ তুলনামূলক বেশি বেতন পেয়েও কেউ দুর্নীতি করতে পারেন৷ প্রশাসনে যে দুর্নীতির অভিযোগ, তার সঙ্গে বেশি বেতনের ক্ষমতাবান কর্মকর্তারাই জড়িত বলেই বার বার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷''

হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘‘আমরা আশা করতে পারি বেতন বাড়লে দুর্নীতি কমবে৷ তবে বাস্তবে দুর্নীতি কমাতে হলে সরকার, রাজনীতি এবং সিস্টেমকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে৷ সাধারণভাবে নিয়োগ, পদোন্নতি এবং বদলি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়, বেতন বাড়লে তা কেন কমবে?''

ওদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বেতন কম হওয়ার কারণে হয়ত কিছু গরিব এবং কম বেতনের কর্মচারী দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারেন৷ কিন্তু বেতন কম হওয়া দুর্নীতির মূল কারণ নয়৷ যারা দুর্নীতি করেন তারা সাধারণভাবে নিম্নআয়ের বা ক্ষমতাহীন নন৷''

তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি কমাতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে৷ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে৷ জাতীয়ভাবে দুর্নীতিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে৷ আমাদের পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যেই দুর্নীতির বিজ লুকিয়ে আছে৷ তাই তা দূর করতে হবে, নয়ত দুর্নীতি দূর করা যাবে না৷ দুর্নীতি করলে শাস্তি হয় না – এই যে এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা এক শ্রেণির মানুষের মনোজগতেও দুর্নীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে৷''

আলী ইমাম মজুমদারের কথায়, ‘‘দেশ ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দুর্নীতি কমিয়ে আমার জন্য অত্যন্ত জরুরি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য