1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিহারে তৃতীয় দফার ভোট নির্বিঘ্নে

২৮ অক্টোবর ২০১০

ভারতের বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার ভোট হয় ৪৮টি আসনে নির্বিঘ্নে৷ ভোট পড়ে ৫৩ শতাংশের মত৷ এক কোটি তিরিশ লাখ ভোটারের প্রায় অর্ধেক মহিলা৷

https://p.dw.com/p/PrCH
ভোটারের প্রায় অর্ধেক মহিলাছবি: UNI

মাওবাদীরা ভোট বয়কটের ডাক দেয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন ফাঁক রাখা হয়নি৷ তৃতীয় দফার ভোট মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের শাসনের অগ্নিপরীক্ষা বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা৷

বিহার বিধানসভার ২৪৩টি আসনের জন্য ৬-দফা ভোটের মধ্যে তৃতীয় দফার এই ভোট সম্পন্ন হয়৷ মামুলি কিছু মারপিটের ঘটনা ছাড়া ভোট হয় মোটামুটি নির্বিঘ্নে৷ ৪৮টি কেন্দ্রের অনেকগুলি মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলে৷ শুধু তাই নয়, এখানকার কয়েকটি জেলা খুন, ডাকাতি,অপহরণের জন্য কুখ্যাত৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাই ব্যাপক৷ আধা সামরিক বাহিনী ছাড়াও আছে কমান্ডো ৷ মাওবাদী গতিবিধি রুখতে আন্ত:রাজ্য সীমা এবং নেপালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সীল করে দেয়া হয়৷ আকাশপথে নজর রাখতে ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টার৷এই এলাকায় নির্বিঘ্নে ভোট পর্বের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার প্রমাণ করবেন, রাজ্যে সুশাসন আছে, আইনের শাসন আছে৷ সেটা কায়েম করতে ৫০ হাজার অপরাধিকে তিনি জেলে পুরেছেন৷ লালু-রাবড়ির জমানায় যাঁদের ছিল দোর্দন্ড প্রতাপ৷

আজকের যে ৪৮টি আসনে ভোট হয়, তারমধ্যে ৩৭টি আসন বর্তমানে ক্ষমতাসীন সংযুক্ত জনতা দল-বিজেপি জোটের দখলে৷ তাতে থাবা বসাতে মরিয়া লালু প্রসাদের আরজেডি এবং রামবিলাস পাশোয়ানেরএলজেপি জোট৷ এই জোট যাদব-দলিত-রাজপুত জাতপাতের নয়া সমীকরণ কাজে লাগাতে সচেষ্ট৷ জাতপাতের রাজনীতি সরিয়ে নীতিশ কুমার উন্নয়নকে পাল্টা হাতিয়ার করেছেন৷ বলেছেন, তাঁর সরকার অনগ্রসর রাজ্যের বদনাম ঘোচাতে শিক্ষা,স্বাস্থ্য,পানীয় জল,বিদ্যুৎ সমস্যার সুরাহা করতে বহুলাংশে সফল৷ উল্লেখ্য, সংখ্যালঘুদের ভোট টানতে মুসলিমদের জন্য স্কলারশিপ, মুসলিম মহাদলিত ও অতি অনগ্রসর দলিতদের পঞ্চায়েত এবং সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেন৷ নির্বাচনি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, কেন্দ্র টাকা দেয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থ৷ সরকারি উদাসীনতার অভিযোগে বেতিয়াজেলার দুটি বুথে ভোট বয়কট করেছে ভোটাররা৷

বৃহস্পতিবারের ভোট যুদ্ধে ৭৮৫জন প্রার্থী৷ ওজনদার প্রার্থীদের মধ্যে আছেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান বিরোধী নেত্রী লালু-ঘরণী রাবড়ি দেবী৷তিনি দাঁড়িয়েছেন দুটি আসনে, রাঘোপুর ও শোনপুর৷ চতুর্থ দফার ভোট ১লা নভেম্বর৷ ভোটগণনা ২৪শে নভেম্বর৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক