1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব জয় করেও মায়ের জন্য হাহাকার

২৩ জুলাই ২০১৩

জন্মস্থান কেনিয়ায় তিনি সুপারস্টার৷ সেখানে আনন্দ মিছিল হয়েছে, আবার হতাশা প্রকাশও হয়েছে ক্রিস ফ্রুমের জন্য৷ ব্রিটেন ভাসছে শুধুই আনন্দে৷ তাঁর সাফল্যের সুবাদে ট্যুর দ্য ফ্রঁস-এ টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নের দেখা পেয়েছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/19C0i
ছবি: picture-alliance/dpa

ক্রিস ফ্রুম আসলে কোন দেশের? কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাকি ব্রিটেনের? এ বছর সাইক্লিংয়ের সেরা আসর ট্যুর দ্য ফ্রঁস জেতা ২৮ বছর বয়সি এ তরুণের ওপর অধিকার আছে তিন দেশেরই৷ জন্ম কেনিয়ায়, সেখানে সাইকেল চালাতে শিখে কৈশোর পেরোনোর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যাওয়া, সাত বছর আগে আবার জন্মভূমির হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেয়া – ফ্রুমের জীবনে ব্রিটেন পর্বের শুরু অনেক পরে৷

তবে পরের অর্জন ম্লান করে দিয়েছে আগের সব কিছুকে৷ গত বছর প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে ট্যুর দ্য ফ্রঁস জিতেছিলেন ব্র্যাডলি উইগিনস৷ একই দেশের নাগরিকত্ব নেয়ার সুবাদে ক্রিস ফ্রুমও এখন ব্রিটিশ৷ প্যারিস হয়ে বিশ্ব মাতানো এই তরুণকে নিয়ে তাই উচ্ছ্বাসে মেতেছে ব্রিটেন৷ গণমাধ্যম জুড়ে তাঁরই প্রশস্তি৷ প্রশস্তি কেনিয়াতেও কম হচ্ছে না৷ সে দেশের ‘ডেইলি নেশন' খুব হতাশা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছে, ‘‘কেন আমরা ওকে যেতে দিলাম? কৃতিত্ব তো এখন ইউকে-র হয়ে গেল!'' প্রতিবেদন শেষ হয়েছে অবশ্য হঠাৎ সুপারস্টার হয়ে যাওয়া ফ্রুমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ‘‘তবে সব কথার শেষ কথা, ওর জন্য কেনিয়াও গর্বিত৷ অভিনন্দন ফ্রুম, তোমাকে স্যালুট! ''

বড় সাফল্যের পর প্রশস্তিগাঁথাগুলো স্বাভাবিক তো বটেই, একটা পর্যায়ে খানিকটা একঘেঁয়েও মনে হয়৷ সেরকম একঘেঁয়েমি থেকে বাইরে রাখা যায় ‘দ্য টাইমস'-এর বিশেষ আয়োজনকে৷ ফ্রুমকে নিয়ে বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করেছে তারা৷ প্রচ্ছদে ফ্রুমের বিশাল ছবি৷ ছবির পাশেই লেখা, ‘‘প্যারিসে তিনি যদি হাসিমুখে পাশে থাকতেন, তার বিনিময়ে সবকিছু ছেড়ে দিতাম আমি৷'' কথাটা নিজের মা সম্পর্কে বলেছেন ফ্রুম৷ ২০০৮ সালে মাতৃহারা হন ফ্রুম৷ ট্যুর দ্য ফ্রঁস জিতে সাইক্লিংয়ের বিশ্ব জয় করার দিনে মা পাশে নেই – সন্তান হয়ে এ আফসোস ভোলেন কী করে ক্রিস ফ্রুম!

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য