1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বে স্কুলে যাবার সবচেয়ে খারাপ জায়গা সোমালিয়া

২২ সেপ্টেম্বর ২০১০

দু’দশক ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সোমালিয়া৷ এবার গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এডুকেশন বা বিশ্ব শিক্ষা অভিযানের রিপোর্ট বলেছে : সোমালিয়ার শিশুদের মাত্র আনুমানিক দশ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়৷

https://p.dw.com/p/PIve
বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শিশুদের শিশুসৈন্য হিসেবে ব্যবহার একটা কারণছবি: AP

জিসিই’র রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে জাতিসংঘের এমডিজি বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষবৈঠকের অবকাশে৷ রিপোর্ট বলছে, চলতি সংঘাত এবং স্থিতিহীনতার কুফল পড়েছে বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার উপর৷ সোমালিয়ায় কর্মরত উন্নয়ন সাহায্য সংস্থাগুলি আরো যোগ করেছে : সোমালি গোষ্ঠীপতিরা যে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শিশুদের শিশুসৈন্য হিসেবে তাদের যোদ্ধার দলে ভর্তি করছে, সেটাও এর একটা কারণ৷

দরিদ্রতম

জিসিই’র অপর একটি পরিসংখ্যান : বিশ্বের যে চারটি দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশী নিরক্ষর, সোমালিয়া তাদের মধ্যে একটি৷ আবার সোমালিয়া বিশ্বের ৬০টি দরিদ্রতম দেশের মধ্যেও পড়ে৷ ঐ তালিকায় সোমালিয়া রয়েছে ইরিট্রিয়া, হাইতি, কোমোরোস, ইথিওপিয়া, চাড এবং বুরকিনা ফাসো’র পরে সর্বশেষ স্থানে৷ এবং জিসিই’র তথাকথিত ‘স্কুল রিপোর্টে’ এই ৬০টি দেশের শিশুদের জীবনযাত্রার যে ছবি তুলে ধরা হয়েছে, তা মর্মস্পর্শী৷ চাড’এর কথাই ধরা যাক : জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ বছর পাঁচেকের জন্য স্কুলে যায়৷ চাড’এ শিশুশ্রম এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিবাহের কোনো কমতি নেই৷ প্রাপ্তবয়স্কদের দুই-তৃতীয়াংশ পড়তে-লিখতে জানে না৷

শুধু কি দারিদ্র্য?

না, দারিদ্র্যই এর একমাত্র কারণ নয়৷ তার প্রমাণ নাইজিরিয়া, যেখানে ৮২ লাখ শিশু স্কুলের চৌকাঠ মাড়ায় না - যে সংখ্যা বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশী৷ অথচ আফ্রিকার হিসাবে নাইজিরিয়া দরিদ্র নয়৷ খাতাপত্রে মহাদেশটির ধনী দেশগুলির মধ্যে নাইজিরিয়াও গণ্য৷ নাইজিরিয়া বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে৷ জিসিই’র মতে নাইজিরিয়ায় বহু দশক ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো বিনিয়োগ করা হয়নি, যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষা প্রায় ভেঙে পড়েছে৷

অশুভ যোগ

জিসিই বলছে, দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে একটি মূল বাধা হল নিরক্ষরতা৷ বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক আজ নিরক্ষর, এবং তাদের অধিকাংশই মহিলা৷ এবং এই নিরক্ষর ৮০ কোটির প্রায় অর্ধেকের বাস কোথায় জানেন? দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে৷

তবে উপায়? জিসিই বলছে, ধনী দেশগুলিকে, জি-এইট গোষ্ঠীর দেশগুলিকে বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন শিক্ষায় আরো বেশী বিনিয়োগ করতে হবে৷ ঐ বিনিয়োগের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে৷ শেষ স্থানে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ