বিশ্বের যত প্রতিবাদের ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে দাঙ্গা পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে এক প্রতিবাদী নারী৷ এমন একটি ছবি এখন সারা বিশ্বে ভাইরাল৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের রমরমা শুরুর আগেও অনেক ছবি হয়েছে প্রতিবাদের প্রতীক৷ চলুন দেখে নিই তেমন কয়েকটি ছবি৷
একজন ইশিয়া এভান্স
তখনো সেখানে দুই কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে৷ নিউ ইয়র্কের ২৮ বছর বয়সি তরুণী ইশিয়া এভান্স ব্যাটন রুজে এভাবেই প্রতিবাদের অনড় দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন সশস্ত্র পুলিশের সামনে৷ ফটোগ্রাফার জনাথন বাখমান ছবিটি তুলতে দেরি করেননি৷ ছবিটি বিশ্বব্যাপী ‘ভাইরাল’ হতেও দেরি হয়নি৷ ছবি দেখে ব্যাটন রুজের মাঝরাস্তায় দাঁড়ানো প্রতিবাদী এক নারীর সাহসের প্রশংসাই করেছেন সবাই৷
তিয়েনানমেনের সেই ‘ট্যাংকমানব’
ট্যাংক বহরের সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন গণমাধ্যমে চীনের এই সাহসি মানুষটির নামই হয়ে গেছে ‘ট্যাংক ম্যান’ অর্থাৎ ট্যাংকমানব৷ ১৯৮৯ সালের ৫ই জুন চীনের তিয়েনানমেন স্কয়ারে বিক্ষোভ দমন করতে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায় সেনাবাহিনী৷ তখনই ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন একজন৷ এভাবে বেশ কয়েকটি ট্যাংককে কিছুক্ষণ থামিয়েও রেখেছিলেন৷ মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন জেফ উইডেনার৷
পুষ্পশিশু
১৯৬৭ সালের অক্টোবরে ওয়াশিংটন ডিসির ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী মিছিলে সেনাবাহিনী বাধা দিতে এলে এভাবেই ফুল হাতে সেনা সদস্যদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সি জ্যান রোজ কাসমির৷ সেদিন এক কিশোরের হাতে ফুলই হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের বি্রুদ্ধে প্রতিবাদের সুন্দরতম ভাষা৷
আরেকটি অন্যরকম প্রতিবাদ
১৯৫৫ সালের ডিসেম্বরে মন্টগোমারিতে রোজা পার্কসকে বলা হয়েছিল বাসের আসন ছেড়ে দিতে৷ শুধু গায়ের রং সাদা নয় বলেই আসন ছাড়তে বলা হয়েছিল তাঁকে৷ রোজা পার্কস আসন ছাড়েননি৷ এ কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে৷ শুরু হয়েছিল বাস বর্জন৷ এক মাস চলেছিল বাস বর্জনের প্রতিবাদ৷ সুপ্রিম কোর্ট বাসে বর্ণের কারণে যাত্রীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকে অন্যায় ঘোষণার পর থেমেছিল সেই প্রতিবাদ৷
বন্দুকের ডগায় প্রার্থনা
২০১৪ সাল৷ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মাঝে দাঁড়িয়ে এভাবেই প্রার্থনা শুরু করেছিলেন এক খ্রিষ্টান যাজক৷
মরিচের মুখে নির্বিকার
২০১১ সালে টিউশন ফি-র বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ছাত্ররা৷ বিক্ষোভ থামাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ৷ এক পর্যায়ে রাস্তায় বসে থাকা শিক্ষার্থীদের মুখে মরিচের গুঁড়ো স্প্রে করে পুলিশ৷ শেষে অবশ্য ‘পেপার স্প্রে’ হাতের এই পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, ছাত্রদের দাবিও মেনে নেয়া হয়েছিল৷
‘উইমেন ইন রেড’
২০১৩ সালে তুরস্কের এক প্রতিবাদী নারী বিশ্বের সবার নজর কেড়েছিলেন৷ গেজি পার্কে পুলিশ তখন বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে৷ তার মাঝেই লাল পোশাক পরে এভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন সিডা সাঙ্গুর৷