বিশ্বের কাছে পথপ্রদর্শক হতে পারে জার্মানি : ম্যার্কেল
৩১ মে ২০১১তবে ফ্রান্স জার্মানির এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করলেও বলেছে তারা এটা অনুসরণ করবে না৷
চ্যান্সেলর ম্যার্কেল
ম্যার্কেল বলছেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জার্মানি সবার কাছে পথপ্রদর্শক হয়ে থাকতে পারে৷ কেননা পুরো বিশ্বকে আমরাই প্রথমবারের মতো দেখাবো, কী করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পাশাপাশি এটা রপ্তানি করা যায়, এর উন্নয়ন করা যায়, এবং এই খাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা যায়৷
অন্যান্য দেশের প্রতিক্রিয়া
সারা বিশ্ব বিশেষ করে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে এখন পর্যন্ত যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে জার্মানির সিদ্ধান্ত এখনো তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি৷ যেমন ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ হলো ফ্রান্স৷ দেশটিতে মোট ৫৮টি পরমাণু চুল্লি রয়েছে৷ যেখানে জার্মানিতে রয়েছে ১৭টি৷ ফ্রান্স বলছে পরমাণু বিদ্যুতের কারণে ইউরোপের যে কোনো দেশের তুলনায় সেখানে বিদ্যুতের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কম৷ এবং জার্মানরা বিদ্যুতের জন্য ফ্রেঞ্চদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন দাম বেশি দিয়ে থাকে৷ তাই আগামী কয়েক দশক অন্তত তাদেরকে পরমাণু বিদ্যুতের উপরই নির্ভর করতে হবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স৷ এদিকে পোল্যান্ড বলেছে, তারা ২০২০ সালে তাদের প্রথম পরমাণু চুল্লি স্থাপণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা পুনর্বিবেচনা করবে৷
কীভাবে চাহিদা মেটাবে জার্মানি
বলা হচ্ছে, উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও আধুনিক ভবন তৈরি করে বিদ্যুতের ব্যবহার শতকরা ১০ ভাগ কমানো যেতে পারে৷ সঙ্গে বায়ুচালিত জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি ও সেটা পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷ এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস