বিশ্বকাপ ফুটবল আসর স্বদেশে পেতে শেষ মুহূর্তের তদবির
২ ডিসেম্বর ২০১০এদিকে, শেষ মুহূর্তের তদবিরে নেমেছেন বিশ্বকাপ ফুটবল আসর আয়োজনে আগ্রহী দেশগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা৷
১৯৪৬ এবং ১৯৬৬ সালের পর এবার তৃতীয়বারের মতো ফিফা একইদিনে ঘোষণা করতে যাচ্ছে একাধিক বিশ্বকাপ আসরের আয়োজক দেশের নাম৷ তবে এবার নিজ দেশে বিশ্বকাপের আসর আয়োজনে আগ্রহীর সংখ্যা এতো বেশি হলেও তখনকার প্রার্থিতায় প্রতিটি আসরের জন্য আগ্রহী ছিল মাত্র একটি করে দেশ৷
যাহোক, ২০১৮ এবং ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বের খেলাগুলো আয়োজনে আগ্রহী দেশগুলোর মধ্যে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বেশ আগে৷ আর এর মধ্যেই ঘটে গেছে উৎকোচের কলঙ্কসহ বেশ কিছু অনিয়মের ঘটনা৷ এই প্রেক্ষিতে শাস্তিও জুটেছে বেশ ক'জন নির্বাহী পরিষদ সদস্যের কপালে৷ তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হতে যাচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরেই৷ সুরিশে দুই আসরের জন্য আয়োজক দেশ নির্ধারণে ভোট দেবেন ২২ জন নির্বাহী সদস্য৷
নিজ দেশে এই আসর নিয়ে যেতে শেষ মুহূর্তের তদবিরে নেমেছেন আগ্রহী দেশগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের তারকা থেকে শুরু করে সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানরাও৷ ফিফা প্রতিনিধিদের সামনে প্রার্থিতার সপক্ষে নিজেদের অবস্থান এবং ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হলো নানা আঙ্গিকে৷ সুরিশে নিজ দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিনের৷ তবে শেষ পর্যন্ত সুরিশ না গিয়েই তিনি একের পর এক কথার বাণ ছুঁড়ছেন মস্কো থেকেই৷ ফিফা নীতি নির্ধারকদের বিরুদ্ধে ‘নোংরা প্রচারাভিযানে' নেমেছে যুক্তরাজ্য এমন অভিযোগ তুললেন পুটিন৷
ওদিকে, যুক্তরাজ্যের পক্ষে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, প্রিন্স উইলিয়াম এবং ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম৷ স্পেন ও পর্তুগালের পক্ষে প্রচারাভিযানে মাঠে থাকছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে হোসে লুই রড্রিগেজ সাপাটেরো এবং হোসে সক্রেটিস৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রচারাভিযানে সুরিশে হাজির করা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভিডিও বার্তা৷
২০১৮ সালের আসরের জন্য লড়ছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, যৌথভাবে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম এবং স্পেন ও পর্তুগাল৷ আর ২০২২ সালের আসরের জন্য দৌড়ে নেমেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং কাতার৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক