1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবারও স্পেন!

১৩ মে ২০১৪

এ এমন এক দেশ, যারা ২০০৮ সালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন, ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং ২০১২-য় আবার ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন৷ কিন্তু পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জেতা? একমাত্র ব্রাজিল যা পেরেছে, ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে৷

https://p.dw.com/p/1ByMx
ছবি: Getty Images/AFP

স্পেন যে গ্রুপে পড়েছে, সেই গ্রুপ ‘বি'-কে ঠিক গ্রুপ অফ ডেথ বলা চলে না: খেলতে হবে নেদারল্যান্ডস, চিলি ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে৷ অপরদিকে একদল প্লেয়ার কতদিন ধরে ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে৷ নয়ত গত বছরের কনফেডারেশনস কাপ ফাইনালে ব্রাজিলের একটি তরুণ, টগবগে দল স্পেনকে ৩-০ গোলে পর্যুদস্ত করতে পারতো না৷

অবশ্য এর আগের চারটি কনফেডারেশনস কাপে যে দলই জিতেছে, তারা পরের বিশ্বকাপ খেতাবটি জয় করতে পারেনি, কিন্তু ও ধরনের কাকতালীয় কুসংস্কারের উপর নির্ভর করে আধুনিক ফুটবল দুনিয়া চলে না৷ বরং স্পেন যে তার অভিজ্ঞ অভিযাত্রীদের মধ্যে কিছু কিছু নতুন মুখ ঢোকাতে শুরু করেছে, সেটাই আশার লক্ষণ বলা যেতে পারে৷ নতুন খেলোয়াড়দের সাধারণত ঠিক সেই বস্তুটি থাকে, যা ছাড়া ফুটবলে জেতা সম্ভব নয়: সেটি হলো জেতার খিদে৷

আন্তর্জাতিক ফুটবলে কিছুটা ভুজুংভাজুং থেকে থাকে৷ তাই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তা মাত্র এক বছরের মধ্যেই ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় থেকে স্পেনের জাতীয় দলের সেন্টার ফরোয়ার্ডে পরিণত হয়েছেন৷ এবং সেটা সম্ভব হয়েছে, কেননা কস্তা দেখাতে পেরেছেন যে, তিনি ব্রাজিলের হয়ে শুধু ফ্রেন্ডলি ছাড়া আর কোনো ম্যাচে খেলেননি৷

কস্তা আসার ফলে স্পেনের কোচ দেল বস্কের একটি মাথাব্যথা কমেছে: কেননা সেন্টার ফরোয়ার্ড হলো এমন একটি পজিশন, যেখানে স্পেনের কিছুটা দুর্বলতা ছিল৷ ঠিক সেভাবেই, চেলসির সেজার আজপিলিচুয়েতা উঠে আসার ফলে দেল বস্কেকে রাইট-ব্যাকের পজিশনটি নিয়ে আর ভাবতে হবে না৷ অপরদিকে মিডফিল্ড এবং ডিফেন্সে তিনি বায়ার্ন মিউনিখের থিয়াগো আলকান্তারা এবং হাভি মার্তিনেজকে পাচ্ছেন – অন্তত উচ্চমানের বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে৷

যা ব্রাজিলে স্পেনের আসল বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা হলো ক্লান্তি, কেননা স্পেনীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় বিগত কয়েক বছর ধরে শুধু জাতীয় নয়, ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাগুলির চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলে আসছে: যেমন এ বছরের চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা, রেয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ৷ জাতীয় ও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাগুলি ধরলে স্পেনের জাতীয় দলের অধিকাংশ প্লেয়ার ‘‘প্রতি তিন দিনে একটি করে ম্যাচ খেলছে৷ সব ক'টি খেলাই কঠিন এবং আমাদের ইনজুরির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে,'' বলেছেন দেল বস্কে৷

Fußball WM Finale Spanien Niederlande Weltmeisterschaft Siegerehrung
২০১০ সালে বিশ্বকাপজয়ী স্পেন দলছবি: AP

স্পেনের আরেকটি বড় সম্পদ হলেন নিঃসন্দেহে দেল বস্কে স্বয়ং, যিনি শুধু বিশ্বের সফলতম কোচদের মধ্যেই পড়েন না, যার ম্যান-ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে স্পেনের গোলরক্ষক ইকার কাসিয়াস বলেছেন: ‘‘উনি আমাকে শিখিয়েছেন, কি করে জয়ী হিসেবে বেঁচে থাকতে হয়৷ সংকটের মুহূর্তে কিংবা ট্রফি হাতে করে বিজয় মিছিলে, উনি সর্বত্র ঠিক একই রকম নিশ্চিন্ত, নিরুত্তাপ৷... শ্রদ্ধা ও স্বাভাবিকতা হলো ওনার সংজ্ঞা৷''

আর বার্সেলোনার সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী খেলোয়াড় সাভি হের্নান্দেজ দেল বস্কে সম্পর্কে বলেছেন: ‘‘আমি যাঁদের সঙ্গে ড্রেসিং রুমে ছিলাম, এমন মানুষদের মধ্যে ভিসেন্তে হলেন সবচেয়ে মানবিক ব্যক্তিত্ব৷''

এসি/জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য